সু চি ও তাঁর সাবেক অস্ট্রেলীয় উপদেষ্টার তিন বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও তাঁর সাবেক অস্ট্রেলীয় উপদেষ্টাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খবর বিসিসির
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের মামলায় মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত আজ বৃহস্পতিবার দুজনকে এ কারাদণ্ড দেন।
সু চির সাবেক এই অর্থনৈতিক উপদেষ্টার নাম শন টারনেল। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক টারনেল একজন অধ্যাপক।
২০০১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সরকার উৎখাত করে দেশটির সামরিক জান্তা। তারা সু চিসহ দেশটির রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার করে। এ অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে টারনেলকে ইয়াঙ্গুন থেকে আটক করা হয়।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে রুদ্ধদ্বার সামরিক আদালতে সু চি ও টারনেলের বিচার হয়। দুজনই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। এ বিচারের সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
সু চিকে ইতিমধ্যে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দিয়েছেন জান্তার আদালত। তিনি এখন পর্যন্ত ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ড পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে।
সু চির বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে, এর সব কটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে প্রায় ২০০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ১৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি মানুষ এখনো বন্দী। একই সময় মিয়ানমার জান্তার হাতে দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী-গণতন্ত্রপন্থী নিহত হয়েছেন।