রাখাইনে জান্তার নৌঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিল আরাকান আর্মি

কুচকাওয়াজে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যরাফাইল ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। গতকাল শনিবার রাখাইনের জাতিগত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে।

আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে বলেছে, এক মাস তুমুল লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থানদের নাগপালি সৈকতের অদূরে নেভি সিল ট্রেনিং সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।

আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ওই ঘাঁটির নাম সেন্ট্রাল নেভাল ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ডিপো (সিএনডিএসডি)। প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নৌ সদরদপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিলেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

জান্তা বাহিনীর এই নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত ৭ আগস্ট বড় পরিসরে এক অভিযান শুরু করে আরাকান আর্মি। প্রথমে নৌঘাঁটির আশপাশের গ্রামে মোতায়েন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায় তারা।

আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল। পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত নৌসেনারাও লড়াইয়ে অংশ নেন। যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এত কিছুর পরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি বলে আরাকান আর্মির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

আরাকান আর্মি দাবি করেছে, নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত এক মাসের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর চার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে তারা।

জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি জোট গঠন করেছে। গত বছরের ২৭ অক্টোর এই জোট বড় পরিসরে হামলা শুরুর পর বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।