মার্কিন সহায়তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল ফিলিপাইন

ফিলিপাইনের একটি নৌযানে পানি ছুড়ছে চীনের দুই জাহাজছবি : রয়টার্স

দক্ষিণ চীন সাগরে অভিযান চালাতে ফিলিপাইনকে সহায়তা করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ফিলিপাইন। গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান রোমিও ব্রাউনার রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের নৌবাহিনী ও চীনের উপকূলরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিপাইনের সঙ্গে সামরিক চুক্তি থাকা যুক্তরাষ্ট্র এ পরিস্থিতিতে তাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের কৌশলগত পুরো সমুদ্রপথের ওপর মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। এতে আপত্তি জানিয়ে আসছে ফিলিপাইন, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা সীমানাবিরোধে কোনো পক্ষ নেয় না; কিন্তু নৌপথে চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষার অভিযান হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে।

গত বছর থেকেই দক্ষিণ চীন সাগরজুড়ে উত্তেজনা বেড়েছে। এর মধ্যে গত মাসে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ম্যানিলা একে চীনের উপকূলরক্ষীবাহিনীর ইচ্ছাকৃত উসকানি বলে মন্তব্য করে। এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সহায়তার প্রস্তাব দিলে ম্যানিলা জানায়, বিষয়টি তারা নিজেরাই সমাধান করতে পারবে।

সামরিক বাহিনীর প্রধান রোমিও ব্রাউনার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা কোনোভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারে কি না, তা ভেবে দেখতে বলেছে। কোনো সহায়তা নেওয়ার আগে আমরা সব সম্ভাব্য বিকল্প খতিয়ে দেখব।’

ম্যানিলা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ১৯৫১ মিউচুয়াল ডিফেন্স ট্রিটি (এমডিটি) নামের চুক্তি আছে। এর আওতায় দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী, সরকারি নৌযান বা উড়োজাহাজের ওপর কোনো হামলা হলে তারা সহায়তা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানায়নি ফিলিপাইন। এর আগে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছিলেন, তাঁর দেশ যুদ্ধ বেধে যাওয়ার মতো কোনো উসকানি দেবে না এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এগোবে।

দক্ষিণ চীন সাগর একটি প্রধান সমুদ্রপথ। এই পথে বছরে তিন লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। এর আগে ২০১৬ সালে হেগের স্থায়ী সালিসি আদালত জানিয়ে দেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। তবে বেইজিং তা প্রত্যাখ্যান করেছে।