২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সোলাইমানি হত্যায় ট্রাম্পের বিচার না হলে প্রতিশোধ: রাইসি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
ছবি: রয়টার্স

ইরানি কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার না হলে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই অঙ্গীকার করেন বলে আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন জেনারেল সোলাইমানি। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন তিনি।

গতকাল সোমবার ছিল সোলাইমানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ইরান ও তার মিত্ররা অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে।

সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তেহরানে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, আগ্রাসনকারী ও মূল হত্যাকারী যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ অন্যান্য অপরাধীদের অবশ্যই বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ‘অন্যথায়, আমি সব মার্কিন নেতাদের বলব যে নিঃসন্দেহে মুসলিম জাতির হাতা থেকে প্রতিশোধের হাত বেরিয়ে আসবে।’

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। ট্রাম্প প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করেন।

সোলাইমানিকে হত্যার পরপরই ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাদের অবস্থান লক্ষ করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এতে কেউ নিহত হননি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সেনা ট্রমায় আক্রান্ত হন।

সোলাইমানিকে হত্যার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মধ্যে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ইরানের ভুল করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ ভূপাতিত হয়। এতে উড়োজাহাজটির ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন।

সোলাইমানির জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নেন। তাঁর প্রতিকৃতি এখনো ইরান, লেবানন, ফিলিস্তিনির সড়ক-স্কয়ার-ভবনে শোভা পায়।

সোলাইমানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর দিন গতকাল দুটি সশস্ত্র ড্রোনের মাধ্যমে বাগদাদে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা করে। তবে হামলার আগেই ড্রোন দুটিকে ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে জোট।

একই দিন ইসরায়েলের গণমাধ্যম নিশানা করে আক্রমণ চালান হ্যাকাররা। আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে জেরুজালেম পোস্টের ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পর জেরুজালেম পোস্টের মূল পাতায় সংবাদের পরিবর্তে একটি ইলাস্ট্রেশন দেখা যায়। যেখানে সোলাইমানিকে স্মরণ করে কিছু বার্তা দেওয়া হয়।