রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কাজাখস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান গ্রেপ্তার

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে কাজাখস্তানে সহিংস বিক্ষোভ চলছে
ছবি: রয়টার্স

কাজাখস্তানের চলমান বিক্ষোভের মধ্যে দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান করিম মাসিমোভকে বরখাস্তের পর আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তদন্ত চলছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে মধ্য এশিয়ার দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি কেএনবি শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, সাবেক গোয়েন্দা প্রধান করিম মাসিমোভের বিরুদ্ধে বড় ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তদন্ত শুরু করার পর গত বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। করিম মাসিমোভ কাজাখস্তানের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নাজারবায়েভের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

কেএনবির বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ নিয়ে ৬ জানুয়ারি ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি বিচার-পূর্ববর্তী একটি তদন্ত শুরু করে। ওই দিন রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধে জড়িত থাকার সন্দেহে কেএনবির সাবেক চেয়ারম্যান কে কে মাসিমোভকে আটক করা হয়। তাঁকে অস্থায়ী একটি বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে।

গত শনিবার কাজাখস্তানে গাড়িতে বহুল ব্যবহৃত এলপিজির দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন রোববার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ মানজিস্তাউয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভ সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিসহ দেশটির অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

আজ শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২৬ জন বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি।
গতকাল শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কোনো ধরনের সতর্কসংকেত ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট কাশিম জোমার্ট তোকায়েভ বলেন, তাঁর অনুরোধে রাশিয়া ও প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা অস্থায়ীভাবে কাজাখস্তানে অবস্থান করবে। রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিও নামের এই সামরিক জোট বাহিনীতে প্রায় আড়াই হাজার সেনা রয়েছেন।