রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট: স্পিকার
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার।
শ্রীলঙ্কার স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে বলেন, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে তাঁকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিতে। সংবিধানের ৩৭ ধারার ১ অনুচ্ছেদের আওতায় এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনে শ্রীলঙ্কার চলমান অস্থিরতা নিয়ে দেওয়া লাইভ আপডেটে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রনিল বিক্রমাসিংহকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি গোতাবায়া। এমনকি গোতাবায়ার সম্প্রতি দেওয়া সব ঘোষণাই হয় পার্লামেন্টের স্পিকার, না হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে আসছে।
এদিকে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে গণ–আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। তাঁরা গোতাবায়া ও রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এখন দেখার বিষয়, স্পিকারের এ ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা কী প্রতিক্রিয়া দেখান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তিনি একটি সামরিক উড়োজাহাজে করে মালদ্বীপে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। গোতাবায়ার দেশ ছেড়ে পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে আজ দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোতেও কারফিউ বলবৎ থাকবে। ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ থামাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উচ্ছৃঙ্খল আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কা অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটের প্রেক্ষাপটে গত মার্চ মাসে দেশটির হাজারো মানুষ রাজপথে নেমে আসেন। তাঁরা লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন।
গত শনিবার শত শত বিক্ষোভকারী গোতাবায়ার বাসভবনে ঢুকে পড়েন। এদিন রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন গোতাবায়া। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ তাঁর পদত্যাগ করার কথা।