কাজাখস্তানে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও বিক্ষোভকারী নিহত
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কাজাখস্তানে চলমান বিক্ষোভে ১২ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স ও আরআইএ নোভোসতি কাজাখস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল খবর২৪-এর বরাত দিয়ে জানায়, একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার মাথাবিহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে কাজাখস্তান পুলিশের মুখপাত্র সালতানেত আজিরবেক খবর২৪ টেলিভিশনকে বলেন, ‘চরমপন্থীরা’ গত রাতে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে প্রশাসনিক ভবন ও পুলিশ সদর দপ্তরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। এ সময় বেশ কয়েকজন হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সহিংস বিক্ষোভের মুখে গতকাল বুধবার দেশটির সরকার পদত্যাগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আসকার মমিনের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার আলমাতির প্রধান চত্বরে শত শত বিক্ষোভকারী মিছিল করেছে। মধ্য এশিয়ার তেলসমৃদ্ধ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সহিংসতায় অন্তত ৮ জন পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ পুলিশ সদস্য।
কাজাখস্তানে গাড়িতে এলপিজি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। দেশটিতে গত শনিবার এলপিজির দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। পরদিন রোববার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ মানজিস্তাউয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ আলমাতিসহ দেশটির অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।