ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেনের ফোন, আব্বাসকে বললেন হামলা থামাতে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন। শনিবার তিনি তাঁদের সঙ্গে পৃথক ফোনালাপ করেন বলে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, গাজা থেকে হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী পক্ষের রকেট হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আর এই অধিকারের প্রতি তাঁর (বাইডেন) একনিষ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
তবে তিনি দুই দেশের মধ্যে চলমান লড়াইয়ে শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এবং গণমাধ্যমের কার্যালয় ধ্বংসের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন। হামলা থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষিত রাখতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানান বাইডেন।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে বাইডেন বলেন, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা থেকে হামাস যেন রকেট হামলা বন্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম আব্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে বাইডেনের। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব জোরদারে নিজের প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামাসের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেননি। ফলে আব্বাসকে করা তাঁর এই ফোন কল কোনো কাজে আসবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ গাজা উপত্যকায় আব্বাসের নিয়ন্ত্রণ খুবই কম। আব্বাস ও তাঁর দল ফাতাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীর। আর গাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস সরকার। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র দেখে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সময় নেতানিয়াহু ও আব্বাসকে ফোন করলেন যার পরদিন তথা রোববার (বাংলাদেশ সময় সোমবার) ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার লড়াই নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ । এদিকে ইতিমধ্যে তেল-আবিব পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সম্পর্কবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাদি আমর। হাদির সফর সম্পর্কে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করবেন তিনি। হাদি সেখানে ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, গত সোমবার থেকে গাজায় চালিয়ে আসা ইসরায়েলি বিমান ও গোলা হামলায় শনিবার পর্যন্ত অন্তত ১৪৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪১ শিশু রয়েছে। অন্যদিকে গাজা থেকে ছোড়া হামাসের রকেট হামলায় দুই শিশুসহ ১০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।