২৫০০ বছর আগের কফিন উদ্ধার
প্রায় ২ হাজার ৫০০ বছর আগের সংরক্ষণ করা ৫৯টি কাঠের কফিন উদ্ধার করেছেন মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। গতকাল শনিবার ২৬তম রাজবংশের পুরোহিত ও যাজকদের এসব কফিন উন্মুক্ত করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলেছেন, কয়েক দিন আগেও সাক্কারা নেক্রোপলিসে আরও বেশ কিছু কফিন পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, গত আগস্টে ইউনেসকো ঘোষিত কায়রোর দক্ষিণের ঐতিহ্যবাহী স্থানে ওই কফিনগুলো পাওয়া যায়। ১০-১২ মিটার গভীর খাদে মিশরীয় দেবতা সেকারের ২৮টি প্রতিমাসহ তাদের সমাহিত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটিসের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা আল-উজিরি বলেন, ২৬তম রাজবংশের পুরোহিত ও যাজকদের কফিন এগুলো।
এ আবিষ্কারের পেছনে মিসরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছিল। এর আগে এ মিশনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে ‘ওয়াহটি’ নামের পঞ্চম রাজবংশের রাজকীয় পুরোহিতের সমাধি ও বিভিন্ন প্রাণীর মমি উদ্ধার করা হয়।
উজিরি বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিকেরা তিনটি বিশেষ খাদ খুঁজে পান, যেখানে কফিনগুলো সংরক্ষিত ছিল। এতে যে সুরক্ষা সিল ব্যবহার করা হয়েছে, তা রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে মমিগুলোকে রক্ষা করে।
গবেষণা করার পর মমিগুলো মিশরের জাদুঘরে প্রদর্শন করা হবে। আগামী বছর জাদুঘর খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী খালেদ আল-অনানি জানান, ওই এলাকায় আরও অজানাসংখ্যক কফিন থাকতে পারে। অঞ্চলটি ৪ হাজার ৭০০ বছর পুরোনো একটি পিরামিডের কাছে অবস্থিত। তাই আবিষ্কার এখানেই শেষ নয়। এটা আবিষ্কারের শুরু। প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী আরও জানান, ২ হাজার ৫০০ বছর আগে ওই কফিনগুলো বন্ধ করা হয়েছে।