নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যে অপহৃত ৫৩ বাসযাত্রীর মুক্তি মিলেছে। তবে গত মঙ্গলবার স্কুলের হোস্টেল থেকে অপহরণের শিকার ৪২ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মুক্তি এখনো মেলেনি।
বাসযাত্রীরা এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় অস্ত্রধারী ‘দস্যুগোষ্ঠী’র হাতে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার রাতে এক টুইট বার্তায় তাদের মুক্তির কথা জানান নাইজার রাজ্যের গভর্নর আবুবাকার সানি বেল্লো। অপহরণের শিকার বাসযাত্রীদের মধ্যে ২০ নারী ও ৯ শিশু ছিল। ঘটনার সময় তারা রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন বাসে করে ভ্রমণ করছিল।
তবে এই যাত্রীদের মুক্ত করতে সরকার কোনো মুক্তিপণ দিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা কোনো মুক্তিপণ দেবেন না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসযাত্রীদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য গভর্নরের মুখপাত্র, মেরি নোয়েল-বারজি।
এদিকে গত মঙ্গলবার নাইজার রাজ্যের কাগারা শহরের সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে অপহৃত ৪২ জনের মুক্তি এখনো মেলেনি। তাদের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন শিক্ষক ও ১২ জন শিক্ষক পরিবারের সদস্য রয়েছেন। নোয়েল-বারজি বলেছেন, তাঁদের মুক্তির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব করছে। গতকাল রাজধানী আবুজা থেকে অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে একটি সামরিক বিমান রওনা হয়েছিল। কিন্তু সেটি বিধ্বস্ত হয়ে সাত কর্মকর্তা নিহত হন।
গত সপ্তাহেই এই রাজ্যে পৃথক আক্রমণে বন্দুকধারীরা আরও ২৩ ব্যক্তিকে অপহরণ করে এবং ১০ জনকে হত্যা করে। নোয়েল-বারজি বলেন, ‘আমরা প্রায় প্রতিনিয়তই এ ধরনের আক্রমণ প্রত্যক্ষ করছি, যা উদ্বেগজনক।’
দস্যুরা নাইজেরিয়ায় রুগু জঙ্গলে নিজেদের গোপন আস্তানা ঘিরে রেখেছে। এই জঙ্গল দেশটির জামফারা, কাটসিনা, কাদুনা ও নাইজার রাজ্যকে ছুঁয়েছে। এসব স্থানে সেনা মোতায়েন করা হলেও বানদিস্তদের আক্রমণ অব্যাহতই রয়েছে। সাধারণত এই অপরাধী চক্র অর্থের জন্য লোকজনকে অপহরণ করে থাকে, তাদের কোনো আদর্শিক লক্ষ্য নেই। তবে তাদের মধ্যে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্রিয়াশীল জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে নিরাপত্তা বিভাগ।