নাইজার থেকে মার্কিন জিম্মিকে উদ্ধার
নাইজারে জিম্মি করে রাখা এক মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের বিশেষ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ সপ্তাহের শুরুতে নাইজারে মার্কিন ওই নাগরিককে অপহরণ করা হয়।
এএফপির খবরে জানা যায়, নাইজেরিয়া সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে গত সোমবার ফিলিপ ওয়াল্টন নামের ওই নাগরিককে অপহরণ করা হয়। গত শনিবার নাইজেরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তাঁকে আনা হয়। এরপর উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকায় সন্ত্রাসী দলগুলোর অবস্থান রয়েছে। ধারণা করা হয়, সাহেল এলাকায় কমপক্ষে ছয়জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
ওয়াল্টনের বাবা এএফপিকে জানান, মাসালাতা গ্রাম থেকে ওয়াল্টনকে অপহরণ করা হয়েছিল। সেখানে তিনি স্ত্রী ও দুই বছরের সন্তানের সঙ্গে বসবাস করতেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, সশস্ত্র ছয়জন মোটরসাইকেলে করে ওই গ্রামে যান।
তবে এটা জানা যায়নি কেন ওয়াল্টনকে অপহরণ করা হয়েছিল ও সশস্ত্র দলের লোকজন কারা ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক সহকারী কর্মকর্তা জোনাথন হফম্যান এক বিবৃতিতে জানান, মার্কিন ওই নাগরিক এখন নিরাপদ। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হেফাজতে আছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযানে কোনো মার্কিন কর্মকর্তা আহত হননি।
এ ঘটনার পর বিশেষ বাহিনীর প্রশংসা করে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নাইজারে বিভিন্ন সশস্ত্র দলের মধ্যে সংঘর্ষ রয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার জিরাফের জন্য আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা টিলেবারির কোউরেতে বন্দুকধারীর গুলিতে ফ্রান্সের ছয়জন ত্রাণকর্মী নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁদের গাড়িচালক ও স্থানীয় গাইডও ছিলেন।
নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসোতে কমপক্ষে ছয়জন পশ্চিমা দেশের নাগরিক জিম্মি হয়ে রয়েছেন।