দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের বিরুদ্ধে ফাইজারের টিকা কম কার্যকর : গবেষণা
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের ধরনের বিরুদ্ধে ফাইজারের টিকা কম কার্যকর বলে দেখা গেছে এক গবেষণায়। ইসরায়েলে হওয়া এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ইউনিভার্সিটি ও ইসরায়েলের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্লালিৎ এই গবেষণা চালিয়েছে। মোট ৪০০ জন কোভিড রোগীদের নিয়ে এ গবেষণা চলে। এই রোগীরা করোনার টিকার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ বা তারও বেশি দিন পর তাদের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গবেষকেরা পর্যালোচনা করেন। তাতে প্রাপ্ত ফলাফল আরও ৪০০ জন ব্যক্তির সঙ্গে মেলানো হয়। ওই ৪০০ ব্যক্তি করোনার টিকা নেননি।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরন কিছু ক্ষেত্রে ফাইজার/বায়োএনটেকের তৈরি করোনার টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটাতে পারে। তবে যেসব ব্যক্তির ওপর এই গবেষণা চালানো হয়, তাদের মাত্র ১ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার ধরনে আক্রান্ত ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটির আনুষ্ঠানিক নাম হচ্ছে বি.১.৩৫১।
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, ফাইজারের তৈরি টিকা প্রকৃত করোনাভাইরাস ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া এর ধরনের বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তিশালী। সেই তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার ধরনের বিরুদ্ধে এটি কম কার্যকর বলে দেখা গেছে। তেল আবিব ইউনিভার্সিটির আদি স্টার্ন বলেন, 'গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ফাইজারের টিকার প্রতিরক্ষা ব্যুহ কিছু ক্ষেত্রে ভেঙে দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন।'
তবে গবেষকেরা এ-ও বলছেন যে, তাদের গবেষণা তুলনামূলক কম সংখ্যক মানুষের ওপর চালানো হয়েছে। কারণ ইসরায়েলে করোনার এই ধরন খুব কম ছড়িয়েছে। এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ ও পূর্ণ সিদ্ধান্ত পেতে হলে আরও বেশি তথ্য-উপাত্ত ও অধিকতর গবেষণার প্রয়োজন আছে।
এই নতুন গবেষণায় পাওয়া তথ্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ফাইজার/ বায়োএনটেক। চলতি মাসের এক তারিখে কোম্পানিটি জানিয়েছিল, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তাদের তৈরি টিকা ৯১ শতাংশ কার্যকর।