দক্ষিণ সুদানের নির্বাচন ২ বছর পেছানো হয়েছে
দক্ষিণ সুদানে আগামী ডিসেম্বরে হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচন দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর ২০১৩ সালে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। প্রেসিডেন্ট সালভ কির ও তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী (বর্তমান ডেপুটি প্রেসিডেন্ট) ২০১৮ সালে একটি শান্তিচুক্তি সই করেন। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। ওই গৃহযুদ্ধে প্রায় ৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ ও শরণার্থী সংকট দেখা দেয়। ২০২০ সাল থেকে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এর পর থেকে এই সরকার নির্বাচন স্থগিত করে নিজেদের মেয়াদ বাড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের দপ্তর থেকে গত শুক্রবার নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ২০২৬ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনও স্থগিত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা তুত গাতলুয়াক জানিয়েছেন, আদমশুমারি, স্থায়ী সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য সরকারের আরও সময় প্রয়োজন।
দক্ষিণ সুদান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বছরখানেক ধরে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। প্রতিবেশী দেশ সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দক্ষিণ সুদানের তেল পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে দেশটি গ্যাস রপ্তানি করে থাকে।
আন্দ্রে মাচ মাবির নামের একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সতর্ক করে বলেছেন, পাতানো নির্বাচন হলে তা সম্পদের অপচয়ের পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।