নাইজেরিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সেনা–সহায়তা নেবে পুলিশ

যান চলাচল বন্ধ রাখতে সড়কের মাঝে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন নাইজেরিয়ার বিক্ষোভকারীরা। ১ আগস্টছবি: রয়টার্স

নাইজেরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে পারে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় (রেড অ্যালার্ট) রাখা হয়েছে। বিভিন্ন শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। নাইজেরিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক কায়োডি ইগবেতোকুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজা ও কানোসহ প্রধান প্রধান শহরে গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। লুটপাটের ঘটনা ঘটে। শুক্রবারও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে এদিন পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল।

কায়োদি ইগবেতোকুন গতকাল বলেন, পূর্ণমাত্রায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আর হুমকির মুখে না পড়ে, সে জন্য দ্রুত সাড়া দিতে প্রস্তুত তাঁরা।

ইগবেতোকুন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন আছেন। প্রয়োজন হলে তাঁরা সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তা নেবেন।

কেনিয়ায় তরুণদের বিক্ষোভ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘এন্ড ব্যাড গভর্ন্যান্স ইন নাইজেরিয়া’ হ্যাশট্যাগে অনলাইনে আন্দোলন শুরু করেন নাইজেরিয়ার নাগরিকেরা।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবুর অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দেশটির জনগণ। এর ফলে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে পড়েছে। ঘটেছে মুদ্রার অবমূল্যায়ন। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

তিনুবু বলেছেন, অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে জনজীবনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা তিনি বুঝতে পারেন। কিন্তু নাইজেরিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।