জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মনানগাগওয়াসহ দেশটির ১১ জ্যেষ্ঠ নেতা ও তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে তা জব্দ করা হবে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ১১ জন যুক্তরাষ্ট্রে অনানুষ্ঠানিক কোনো সফরে যেতে পারবেন না।
এদিকে নতুন এ পদক্ষেপের পাশাপাশি ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের কয়েকজন নাগরিকের ওপর দেওয়া একটি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের উপমন্ত্রী ওয়ালি আডেইয়েমো বলেন, ‘আমরা আজ (সোমবার) যেসব পরিবর্তন এনেছি, তার উদ্দেশ্য এটা পরিষ্কার করা যে আমাদের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু জিম্বাবুয়ের সাধারণ মানুষ নন। সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আমরা নতুন করে নজর দিচ্ছি।’
ওয়ালি আডেইয়েমো আরও বলেন, ‘নতুন লক্ষ্যবস্তুতে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট মনানগাগওয়ার সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছেন জিম্বাবুয়ের জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ব্যবসায়ীরা।’
জিম্বাবুয়েতে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী জিম্বাবুয়ে সরকারের সদস্যসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।