আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট ছাড়ছে নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো
অবিলম্বে আঞ্চলিক জোট ইসিওডব্লিউএএস ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে তিন দেশ—নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো। দেশ তিনটির অভিযোগ, এই আঞ্চলিক জোটের কর্মকাণ্ড পশ্চিম আফ্রিকার সদস্যদেশগুলোর জন্য ক্রমেই হুমকি হয়ে উঠছে। আফ্রিকার এই তিন দেশেই বর্তমানে সামরিক নেতৃত্বের শাসন চলছে।
ইসিওডব্লিউএএসের পূর্ণরূপ—ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোয় আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই জোট কাজ করে।
গতকাল রোববার নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসিওডব্লিউএএস থেকে অবিলম্বে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেবে এই তিন দেশ। এ জন্য তিনটি দেশ সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি শক্তির প্রভাবে কাজ করছে ইসিওডব্লিউএএস। এ জন্য প্রতিষ্ঠাকালীন মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে এই জোট। সেই সঙ্গে এই জোট সদস্যদেশ ও এসব দেশের মানুষদের জন্য ক্রমেই হুমকি হয়ে উঠছে।
দেশ তিনটি অভিযোগ করেছে, সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা আঞ্চলিক এই জোটের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়নি। বরং তাদের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি, অবৈধ, অমানবিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে।
এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইসিওডব্লিউএএস জানিয়েছে, জোট ছাড়ার বিষয়ে দেশ তিনটির সিদ্ধান্ত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। জোট ছাড়ার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হতে বছরখানেক সময় লেগে যাবে।
জোটের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো আঞ্চলিক এই জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। উদ্ভুত রাজনৈতিক অচলাবস্থায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পেতে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মালিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে সামরিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে। বুরকিনা ফাসোতে ২০২২ সালে ও নাইজারে ২০২৩ সালে একই ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসিওডব্লিউএএস। তিন দেশের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নাইজার ও মালির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এই জোট।