২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ডলারের বদলে সোনা দিয়ে তেল কিনতে চায় ঘানা

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট চলছে বলে সতর্ক করা হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

বৈদেশিক মুদ্রার মজুত হিসেবে থাকা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে সোনা দিয়ে জ্বালানি তেল কেনার এক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার সরকার। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওউমিয়া গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দাভাব চলছে। আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত ডলারের চাহিদাও বেড়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়, এমন দেশে ডলারের মজুত কমছে প্রতিনিয়তই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। এমন এক পরিস্থিতিতে ডলার–সংকট কাটাতে এ পরিকল্পনার কথা জানাল ঘানা।

আফ্রিকার দরিদ্র দেশ ঘানায় ডলারের সংকট চলছে। সরকারের হিসাবে, ২০২১ সাল শেষে ৯৭০ কোটি ডলার মজুত ছিল দেশটিতে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে, মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে দাঁড়ায় প্রায় ৬৬০ কোটি ডলারে। হাতে থাকা এই ডলার দিয়ে দেশটি তাদের তিন মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে পারবে।

এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের শুরু থেকে সোনা দিয়ে আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধের পরিকল্পনা করছে ঘানা। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওউমিয়া বলেছেন, ‘সরকারের নেওয়া নতুন নীতি আমাদের বিনিময়ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে। এতে করে দেশীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন অনেকটা হ্রাস পাবে।’

এর ব্যাখায় বাওউমিয়া বলেন, ‘সোনা দিয়ে তেল আমদানি করলে মুদ্রা বিনিময় হার সরাসরি জ্বালানি বিলের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ, দেশীয় বিক্রেতাদের তেল বা তেলজাতীয় পণ্য আমদানিতে তখন আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না। সোনা দিয়ে তেল আমদানি বিনিময়ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে।’

ঘানায় জ্বালানি তেলের খনি আছে। দেশটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন করে। তবে ব্যবহার করার জন্য পরিশোধন করতে পারে না। ২০১৭ সাল থেকে ঘানা এ সমস্যায় আছে। সে বছর ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে দেশটির একটি তেল পরিশোধনাগার বন্ধ হয়ে যায়। সেটিই ছিল দেশটির একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার।