নাইজারে দূতাবাস থেকে লোকজন সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নাইজারের রাজধানীতে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জান্তাদের সমর্থনে হাজারো মানুষ রাশিয়া ও নাইজারের পতাকা হাতে মিছিল করেন। ৩০ জুলাই তোলা
ছবি: এএফপি

আফ্রিকার দেশ নাইজারে নিজেদের দূতাবাস থেকে আংশিক লোকজন সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের সপ্তাহখানেক পর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হলো।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভ্রমণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নাইজারের রাজধানী নিয়ামে মার্কিন দূতাবাসে কেবল অতি জরুরি কাজে কর্মকর্তারা অবস্থান করবেন। যাঁরা অতি জরুরি কাজে নিয়োজিত নন, তাঁরা সপরিবার দেশে ফিরে আসবেন। দূতাবাসের রুটিন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা শুধু মার্কিন নাগরিকদের নাইজার ত্যাগে সহায়তা করবেন।

আরও পড়ুন

একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নাইজার ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত নাইজার ত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নাইজারে গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থান ঘটে। এতে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের সদস্যরা। অভ্যুত্থানের পর নাইজারের প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

অভ্যুত্থানের সময় পদচ্যুত করা হয় নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে। এর পর থেকে রাজধানী নিয়ামের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বন্দী রয়েছেন তিনি।

২০২১ সালে নির্বাচনে জিতে নাইজারের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন মোহাম্মদ বাজোম। তিনি পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত। নাইজারের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র ও একসময় নাইজারে উপনিবেশ স্থাপন করা ফ্রান্স এত দিন মোহাম্মদ বাজোমকে সরাসরি সহায়তা করে আসছিল। অভ্যুত্থানের পর বাজোমের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশ দুটি। নাইজারে এই দুই দেশের সেনা ঘাঁটি রয়েছে।

অভ্যুত্থানের পর ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নাইজারের সঙ্গে নিরাপত্তা ও আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। একই পথে হাঁটতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রও। বন্দী মোহাম্মদ বাজোমের মুক্তি চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন