তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার
তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী স্ফ্যাক্স উপকূলে গত কয়েক দিনে ২২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ পাওয়া গেছে। তাঁরা সাব-সাহারা (সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের এলাকা) এলাকার অভিবাসনপ্রত্যাশী বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির একটি আদালতের মুখপাত্র গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য দিয়েছেন।
স্ফ্যাক্স আদালতের মুখপাত্র হিসেম বিন আয়েদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গত শনিবার থেকে সিদি ইউসেফ বন্দরসংলগ্ন উপকূলে ২২ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
হিসেম বিন আয়েদ আরও বলেন, এগুলো সাব-সাহারা আফ্রিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লাশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশগুলো স্থানীয় একটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা একটি, নাকি একাধিক নৌকায় করে রওনা দিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেন আদালতের মুখপাত্র। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।
গতকাল তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, দেশটির বিভিন্ন উপকূল থেকে অবৈধভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপ পাঠানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তারা পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিউনিসিয়া ও প্রতিবেশী লিবিয়া হয়ে উঠেছে হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশীর ইউরোপ–যাত্রার প্রধান মাধ্যম। অনেকেই বিপজ্জনক সাগরপথ পাড়ি দিতে অন্যান্য দেশ থেকে এখানে এসে জড়ো হন। তাঁরা আসেন ইউরোপের উন্নত জীবনের হাতছানিতে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে হয়তো ২ হাজার ৪৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, নয়তো তাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেশি।