কেনিয়ায় একাই ৪২ নারীকে হত্যা করেছেন তরুণ, পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি
কেনিয়ার সন্দেহভাজন এক ক্রমিক খুনি ৪২ নারীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। দেশটির রাজধানী নাইরোবির একটি বস্তির ময়লার স্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৯ নারীর ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তির হাতে এত নারীর প্রাণ হারানোর ঘটনায় সমস্যাজর্জরিত আফ্রিকার দেশটিতে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার দেশটির অপরাধ তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ আমিন সাংবাদিকদের বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, তিনি প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের হাত করতেন। এরপর তাঁদের হত্যা করে লাশ ময়লার স্তূপে ফেলে দিতেন। এখন পর্যন্ত তিনি ৪২ নারীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।
সন্দেহভাজন দ্বিতীয় এক ক্রমিক খুনিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আমিন। এক ভুক্তভোগীর মুঠোফোনসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক ডগলাস কানজা জানান, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটায় একটি পানশালার কাছাকাছি স্থান থেকে ক্রমিক খুনের প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়স ৩৩ বছর। অপরাধ তদন্ত অধিদপ্তর ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধার করা লাশগুলো ছিন্নভিন্ন ও বিকৃত জানিয়ে কানজা বলেন, আজ বাকি লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হবে। গত শুক্রবার থেকে নাইরোবির দক্ষিণের মুকুরু নামক একটি বস্তির ময়লার স্তূপ থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এগুলো প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো ছিল।
উদ্ধার হওয়া সব লাশ নারীর বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গতকাল এত নারীর লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা রাস্তায় নেমে আসেন। কিন্তু কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এক ব্যক্তির হাতে এত নারীর প্রাণ হারানোর ঘটনাটি কেনিয়ার পুলিশের পাশাপাশি দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর ওপরও চাপ তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি রুটোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েক দিনের বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।