রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের বিচার করবে জান্তা
নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ‘উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করবে দেশটির সামরিক জান্তা।
গতকাল রোববার গভীর রাতে নাইজারের সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া নাইজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের নিন্দা করেছে দেশটির সামরিক জান্তা।
গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাজোমকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। একই সঙ্গে তারা দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় নাইজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)।
বাজোমকে ক্ষমতাচ্যুত করার সঙ্গে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের বিষয়টিও ইকোওয়াস উড়িয়ে দেয়নি।
নাইজারে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে যত দ্রুত সম্ভব ‘স্ট্যান্ডবাই’ বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর এই জোট। তবে তারা সংকটের একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়ে রেখেছে।
গতকাল গভীর রাতে নাইজারের জাতীয় টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হন সেনা মুখপাত্র কর্নেল মেজর আমাদু আবদ্রামানে। তিনি একটি বিবৃতি পাঠ করেন।
বিবৃতি অনুযায়ী, নাইজারের সামরিক নেতারা বলেছেন, তাঁরা বাজোমকে উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাইজারের অভ্যন্তরীণ-বাহ্যিক নিরাপত্তাকে অবজ্ঞা করার অভিযোগে বিচার করবেন।
৬৩ বছর বয়সী বাজোম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বন্দী বাজোমের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।
বাজোমের এক সহচর বলেছেন, গত শনিবার তাঁকে (বাজোম) দেখেছেন চিকিৎসক।
সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা দেখতে পাননি চিকিৎসক।
সামরিক জান্তা আরও বলেছে, নাইজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে দেশটির জনগণ ওষুধ, খাদ্য, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা অবৈধ, অমানবিক ও অপমানজনক।