দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ চলছে
দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিশফন্টেইন শহরে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ চলছে। গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা খনি থেকে মৃত ব্যক্তিদের ব্যাগ ও জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজ চালান। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো অনেক অবৈধ খনি শ্রমিক কমপক্ষে দুই কিলোমিটার মাটির নিচে আটকে আছেন।
শ্রমিকেরা খনিতে অবৈধভাবে খননকাজ চালাচ্ছিলেন। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য, পানি ও অন্য সব সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে তাঁদের জোর করে বের করার উদ্যোগ নেওয়ায় অচলাবস্থা শুরু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর খনি থেকে ৮২ জনকে জীবিত ও ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বিবিসি ৮০ জনের বেশি খনি শ্রমিককে জীর্ণ অবস্থায় মেডিকেল তাঁবুতে নিয়ে যেতে দেখেছে।
গত বছর দেশজুড়ে অবৈধ খনির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এই ব্যক্তিরা আত্মগোপনে ছিলেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিকেরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খনিকূপে প্রবেশ করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ তাঁদের বের করে আনতে কঠোর অবস্থান নেয় এবং খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তখন এক মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা তাঁদের বের করে আনতে বাধ্য করব।’
গতকাল উদ্ধার অভিযান চলার সময় খনিমন্ত্রী গওয়েড মানতাশে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অবৈধ খনি খনন অর্থনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, গত বছরের ধরপাকড়ের পর থেকে ১০০ জনেরও বেশি অবৈধ শ্রমিক মারা গেছেন। এখনো মৃতের সংখ্যা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি। ওই এলাকায় শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য বিক্ষোভ করছেন।