২৪ ঘণ্টায় ১১১ জনের রূপসজ্জা

রূপসজ্জায় ব্যস্ত মেরি ইয়ংগাইছবি: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সৌজন্যে

একজন রূপসজ্জাশিল্পী এক দিনে (২৪ ঘণ্টায়) কতজনকে সাজাতে পারেন? ৫ জন, ১০ জন কিংবা সর্বোচ্চ ১৫ জন? কিন্তু উত্তর যদি হয় শতাধিক, তাহলে নিশ্চয়ই চোখ কপালে উঠবে।

কেউ কেউ হয়তো বলবেন, এটা কীভাবে সম্ভব? অথচ এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন মেরি ইয়ংগাই। তিনি ২৪ ঘণ্টায় ১১১ জনকে সাজিয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।

২৬ বছর বয়সী মেরি আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের বাসিন্দা। রূপসজ্জাশিল্পী মেরি ১ দিনে ১০০ জনকে সাজানোর লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ২৪ ঘণ্টায় ১১১ জনকে সাজাতে সক্ষম হন। এর মধ্য দিয়ে মেরি শুধু নিজের ঠিক করা লক্ষ্যকেই ছাপিয়ে যাননি; বরং তিনি ১৯ বছর আগের একটি বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে

বলা হয়, এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের রূপসজ্জা করানোর রেকর্ডটি এত দিন ইন্দোনেশিয়ার মার্থা তিলারের দখলে ছিল। ২০০৫ সালে তিনি রেকর্ডটি গড়েছিলেন। তিনি এক দিনে ৯৬ জনকে সাজিয়েছিলেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বলছে, মার্থার চেয়ে ১৫ জনকে বেশি সাজিয়ে ১ দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের রূপসজ্জা করার নতুন বিশ্ব রেকর্ড এখন মেরির দখলে।

রেকর্ডটি গড়ার ক্ষেত্রে থাকা নিয়ম অনুসরণ করে মেরি প্রত্যেককে কনসিলার, ফাউন্ডেশন, ব্লাশ বা ব্রোঞ্জার লাগিয়েছেন। অন্তত দুটি রঙের আইশ্যাডো, আইলাইনার, মাসকারা, লিপস্টিক বা লিপগ্লস, লিপলাইনার পরিয়েছেন। রূপসজ্জার শেষ ধাপে পাউডারও মাখিয়ে দিয়েছেন।

সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউনে এই রেকর্ড গড়ার আয়োজন বসেছিল। রেকর্ড গড়ার ঘটনাটি দেখতে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তারকা ও মন্ত্রী ছিলেন। তাঁরা মেরিকে উৎসাহ দেন।

রেকর্ড গড়তে টানা ২৪ ঘণ্টা রূপসজ্জার কাজ চালিয়ে যান মেরি। নিয়ম মেনে মাঝখানে একবারের জন্য তিনি ২০ মিনিটের বিরতি নিয়েছিলেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি কিছুই খাননি। শুধু কোমল পানীয় পান করেছেন।

মেরি বলেন, তাঁর রেকর্ড গড়া দেখতে

অনেক মানুষ ভিড় করেছিলেন। সবশেষ ব্যক্তির রূপসজ্জা শেষ হওয়ার পর সবাই উল্লাস প্রকাশ করেন। তাঁকে অভিনন্দন জানান। এতে তিনি বেশ সম্মানিত বোধ করেন।

সিয়েরা লিওনের কারও বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের একসঙ্গে সাম্পা নাচের বিশ্ব রেকর্ড হয়েছিল। রেকর্ড হয়েছিল ২০১২ সালে, ফ্রিটাউনের জাতীয় স্টেডিয়ামে।