এমপক্সের সংক্রমণ করোনা মহামারির মতো হবে না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

এমপক্স ভাইরাসের কণাছবি: এপি

বিশ্বজুড়ে এমপক্স হিসেবে পরিচিত মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ আরেকটি করোনা মহামারির মতো হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমনটাই জানিয়েছে। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, এই ভাইরাস অজানা নয়, এটি সম্পর্কে সবকিছুই মোটামুটি জানা। এর অর্থ হলো ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় পরিচালক হ্যানস ক্লুগ গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, এমপক্স নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও ভাইরাসটির ক্লেড ১বি ধরন নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

২০২২ সালের জুলাইয়ে এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এক দফায় জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে তখন তুলনামূলক কম সংক্রামক ক্লেড ২বি ধরন ছড়িয়েছিল। এমপক্সের ক্লেড ২বি ধরনটি প্রধানত সমকামী ও উভকামী মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ২০২৩ সালের মে মাসে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়।

আরও পড়ুন

হ্যানস ক্লুগ বলেন, এমপক্স নতুন কোনো করোনা হবে না।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইন ব্রিফিংয়ে হ্যানস ক্লুগ আরও বলেন, ‘এমপক্সকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সেটা আমরা জানি। এমনকি ইউরোপীয় অঞ্চলে এর সংক্রমণ সম্পূর্ণ নির্মূল করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও আমাদের জানা।’

আরও পড়ুন

বিশ্বে এ মুহূর্তে এমপক্স ভাইরাসের কয়েকটি ধরনে সংক্রমণের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি ধরন সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। ক্লেড ১বি নামের ধরনটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শনাক্ত হয়।

আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া। আফ্রিকার বাইরে শনাক্ত হয়েছে সুইডেন, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে।

আরও পড়ুন

এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এমপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ ফ্লুর মতো। রোগের একপর্যায়ে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন