এসসিও সম্মেলনের আগে ‘বিচ্ছিন্ন’ ইসলামাবাদ

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আজ ইসলামাবাদেছবি : রয়টার্স

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসএসিও) সম্মেলন উপলক্ষে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে কঠোর নিরাপত্তা ‘লকডাউন’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুই দিনের সম্মেলন উপলক্ষে আজ সোমবার থেকে সেখানে অতিথিরা আসতে শুরু করেছেন। আজ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ইসলামাবাদে এসে পৌঁছান। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরের দিন বুধবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গত ১১ বছরের মধ্যে এটাই প্রথম কোনো চীনা প্রধানমন্ত্রীর সফর। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।

সরকারের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদে তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে স্কুল–কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশ ও প্যারামিলিটারি বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর রেড জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। রেড জোন এলাকায় পার্লামেন্ট সদস্য ও কূটনীতিকেরা অবস্থান করেন। এ এলাকায় অধিকাংশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এসসিও সম্মেলন ঘিরে পাকিস্তানে বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে। দেশটিতে সম্প্রতি দুজন চীনা প্রকৌশলী ও ২১ খনিশ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার পর হুমকি আরও বেড়েছে।

এর বাইরে কারাবন্দী থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ১৫ অক্টোবর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।

ইসলামাবাদে চীনা নাগরিকদের সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। তাদের আশঙ্কা, চীনের নাগরিকেরা হামলার মুখে পড়তে পারেন।

২৩তম এসসিও সম্মেলনে চীন, ভারত, ইরান, রাশিয়াসহ পূর্ণ সদস্য নয়টি দেশ অংশ নিচ্ছে। সম্মেলন ছাড়াও পাকিস্তানে চার দিনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন লি কিয়াং।

এসসিও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন চীন, রাশিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা। এ ছাড়া ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।