রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরান কেন নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে থাকছে না
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। গত বছর ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। সে জন্য বর্তমানে ইরানের একটি কুখ্যাত কারাগারে বর্তমানে বন্দী নার্গিস মোহাম্মদি।
৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছর সম্মানজনক এই পুরস্কারের ঘোষণা। ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বছরের নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ইরানি কর্তৃপক্ষ নার্গিস মোহাম্মদিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান বেরিত রেইস-অ্যান্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘ইরানি কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে তারা তাঁকে মুক্তি দেবে, যাতে তিনি এই সম্মাননা গ্রহণ করতে উপস্থিত হতে পারেন। আমরা এখন এটাই আশা করছি।’
নোবেল কমিটি নার্গিস মোহাম্মদির উপস্থিতি আশা করলেও স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ইরান সরকারের উপস্থিতি চাওয়া হচ্ছে না। অনুষ্ঠানে ইরান ছাড়াও রাশিয়া ও বেলারুশকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
এ বছরের শুরুতে নোবেল ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে ইরানকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। তাদের এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা হয়। এ প্রেক্ষাপটে গত মাসে ওই তিন দেশকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নোবেল ফাউন্ডেশন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করায় রাশিয়া এবং এতে সহযোগিতার জন্য বেলারুশকে গত বছর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর ইরান বাদ পড়েছিল মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার জন্য।
এ বছর দেশ তিনটিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও সেখান থেকে সরে আসার কারণ ব্যাখ্যায় নোবেল ফাউন্ডেশন বলেছে, আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তার কারণে সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। ফাউন্ডেশন বলেছে, তাই স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
অবশ্য নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট বলেছে, ১০ ডিসেম্বরই নরওয়ের রাজধানী অসলোতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশ তিনটি আমন্ত্রণ জানাবে তারা।