প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কপ–২৮। জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ কী হবে, এটা থাকবে এবারের সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয়।
বিশ্বের অন্যতম জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবার সম্মেলনের আয়োজক। দেশটির দুবাই শহরে আয়োজিত এ সম্মেলন চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০২৩ সাল ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে উষ্ণ বছর। এর প্রধান কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। এমন একটি বিষয় সামনে আসার মধ্যেই জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ুবিষয়ক এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে।
এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার ব্যাপারে গোটা বিশ্ব কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে কি না, তার ওপর। কারণ, জ্বীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের কারণে হওয়া কার্বন নিঃসরণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে কীভাবে সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা যায়, তার রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হবে সম্মেলনে।
তবে গত কয়েক বছরের মতো এবারও জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে দেশগুলো কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে কি না, সে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সম্মেলন শুরুর কয়েক দিন আগে পশ্চিমা দেশগুলোর জ্বালানিবিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, জ্বীবাশ্ম জ্বালানি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট আরও ঘনীভূত করবেন নাকি জ্বীবাশ্ম জ্বালানি ছেড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকবেন।
আইইএ এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক জোট ওপেক। জোটের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, আইইএর এমন প্রতিবেদন প্রকাশ তেল উৎপাদনকারীদের জন্য মানহানিকর।
কপের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সুলতান আল–জাবেরের দিকেও সবার নজর থাকবে এবার। কারণ, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, জলবায়ু পরিবর্তন সংকট মোকাবিলায় একটি সমঝোতা বা ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়ে তিনি কতটা সততার সঙ্গে কাজ করবেন।