বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম আরও কমেছে

ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এই খাদ্যপণ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমছে। তবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে খাদ্যপণ্যের দাম ১৪ শতাংশ বেড়েছিল, যা ১৯৯০ সালে রেকর্ড রাখার পর থেকে বিশ্বে সর্বোচ্চ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এফএওর প্রকাশিত সূচকে দেখা যায়, গত এপ্রিল থেকে টানা ৯ মাস বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমছে। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরেও খাদ্যশস্যের দাম কিছুটা কমেছে। গত মাসে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক গড় দামের সূচক ছিল ১৩২ দশমিক ৪ পয়েন্ট, যা নভেম্বরে ছিল ১৩৫ পয়েন্ট। ২০২২ সালের বৈশ্বিক গড় দামের সূচক দাঁড়িয়েছিল ১৪৩ দশমিক ৭ পয়েন্টে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বা ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ১৯৯০ সালের পর খাদ্যপণ্যের দামে এটিই সর্বোচ্চ সূচক।

গত ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্গে কিছু খাদ্যশস্য ও মাংসের দাম কমে যাওয়া। তবে বিশ্ববাজারে চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম এখনো তুলনামূলক বেশি।

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে দায়ী করা হয়। কৃষ্ণসাগর বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধের আশঙ্কা থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। তবে জাতিসংঘ-সমর্থিত শস্য চুক্তির কারণে ওই বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হওয়ার পর খাদ্যশস্যের দাম কমতে শুরু করে।

এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমবে। টানা চার বছর বিশ্বে উৎপাদনের ঊর্ধ্বগতির পর এবারই প্রথম খাদ্যশস্য উৎপাদন কমতে পারে। ২০২১ সালের তুলনায় এ অর্থবছরে ১ কোটি ৬০ লাখ টন খাদ্যশস্য কম উৎপাদন হতে পারে।