মনমোহন সিংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কাল শনিবার

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিছবি: এএনআই

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগামীকাল শনিবার। তাঁর মৃত্যুতে দেশটিতে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৯২ বছর বয়সে গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় সারা দেশে সরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সকালে নয়াদিল্লিতে দলের সদর দপ্তরে এক ঘণ্টার জন্য মনমোহনের মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে সাধারণ জনগণ ও দলের নেতা–কর্মীরা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। সেখান থেকে তাঁর মরদেহ শ্মশানে নেওয়া হবে।

আজ নয়াদিল্লিতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারত তাঁর বিশিষ্ট নেতাদের একজনকে হারিয়ে শোকাহত।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডিসহ ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের অনেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মরদেহে ফুল ছিটিয়ে, প্রণাম জানিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

আরও পড়ুন

মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের (১৯৯১-৯৬) সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সে সময় তিনি দেশটির রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক—রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর ছিলেন। অর্থমন্ত্রী থাকাকালে মনমোহন সিং ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এ কারণে তাঁকে ভারতের অর্থনীতিতে উদারনৈতিক সংস্কারের ‘স্থপতি’ বলা হয়।