টানা ৩৬ কিলোমিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন রিকি লাইটফুট। তবে সাধারণ কোনো দৌড় প্রতিযোগিতায় নয়। যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে গত শনিবার অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় রিকিকে দৌড়ে পেছনে ফেলতে হয়েছে মানুষের পাশাপাশি ৫০টি ঘোড়াকেও।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়েলসে ১৯৮০ সালে ব্যতিক্রমী এই প্রতিযোগিতার শুরু হয়। রিকিকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন। বাদবাকি সময় শিরোপা গেছে ঘোড়ার দখলে।
রিকি এসেছেন ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের টেনেরিফে থেকে। ওয়েলসে আসতে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। টানা ২৯ ঘণ্টা জেগে থাকতে হয়েছে। এই ধকলের পরপরই আবার নামতে হয়েছে প্রতিযোগিতার মাঠে।
দৌড়ের অভিজ্ঞতা রিকির আগে থেকেই রয়েছে। তবে ওয়েলসের প্রতিযোগিতায় যে তিনিই প্রথম হয়েছেন, তা শুরুতে বুঝতে পারেননি। কারণ, মানুষ ও ঘোড়ার দৌড়ানোর পথ আলাদা। পরে আশপাশে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে তিনি বুঝতে পারেন প্রতিযোগিতায় ১ হাজার মানুষ ও ৫০ ঘোড়াকে পেছনে ফেলে জয় তাঁর ঘরেই এসেছে। পুরো পথ দৌড়াতে রিকির সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৪ লাখ টাকা (৩ হাজার ৫০০ পাউন্ড)।
এর আগে ওয়েলসের প্রতিযোগিতায় প্রথম ঘোড়াকে পরাজিত করার ঘটনা ঘটেছিল ২০০৪ সালে। পরে আবার ২০০৭ সালে একই ঘটনা ঘটে। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি এই প্রতিযোগিতা।
ঘোড়াকে হারিয়ে কেমন লাগছে, প্রশ্নের জবাবে ৩৭ বছর বয়সী রিকি বলেন, ‘ভালোই, দৌড়ে ঘোড়াকে হারানো আর প্রতিযোগিতায় জেতা বড় একটি বিষয়। আমার সঙ্গীকে ফোন করেছিলাম। বললাম, ঘোড়াকে হারিয়েছি। সে–ও অবাক হয়ে বলল, “তুমি কি মজা করছ!”’
তবে জয়ের বিষয়ে আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানিয়েছেন এই অগ্নিনির্বাপণকর্মী। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম, ঘোড়াদের বিপক্ষে দৌড়ে আমি ভালো করব।’ একই ধরনের কথা বলেছেন প্রতিযোগিতার পরিচালক মাইক থমাসও। তাঁর ভাষায়, শনিবারের ওই প্রতিযোগিতায় সহজেই জয় পেয়েছেন রিকি।