২০২২ সালে করোনা হার মানবে, আশা ডব্লিউএইচওর

ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস
ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, তিনি আশা করছেন, ২০২২ সালে করোনাভাইরাসের মহামারি হার মানবে। তবে এ জন্য বেশ কিছু শর্ত উল্লেখ করেছেন তিনি। এর মধ্যে একটি হলো, করোনার সংক্রমণ রোধে দেশগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের শুরুতে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডব্লিউএইচওর প্রধান। এতে তিনি টিকা নিয়ে জাতীয়তাবাদী আচরণ ও টিকার মজুতের বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রায় দুই বছর আগে করোনাভাইরাস শাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ শনাক্ত হওয়ার দুই বছর পর করোনার বিদায় নিয়ে কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি যখন করোনার পরাজিত হওয়ার কথা বলছেন তখন বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ।

এই যখন পরিস্থিতি তখন বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। তবে করোনার কারণে দেশে দেশে এই উদ্‌যাপনের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জনসমাগম যাতে না হয় সেই আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিধিনিষেধসহ সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে মানুষের জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ করেছে নানা সময়। পরিবার থেকে মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া মাস্ক ছাড়া বাইরে যাওয়ার বিষয়টি এখন চিন্তাতীত। এত কিছুর পরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এ নিয়ে আশা বাণী শোনালেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় এখন অনেক কিছু রয়েছে।

তবে একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তেদরোস আধানম। তিনি বলেন, টিকার ক্ষেত্রে যে অসমতা রয়েছে তা বজায় থাকলে ভাইরাসের নতুন ধরন আসার ঝুঁকি বাড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি এই অসমতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি তবে করোনার মহামারি বিদায় নেবে।’