৬ ঘণ্টা পরে সচল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম
সার্ভার ডাউন হওয়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। সোমবার রাত নয়টার কিছু সময় পর থেকে জনপ্রিয় এই যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বার্তা আদান–প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বিশ্বজুড়ে লাখো ব্যবহাকারী। মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে এক টুইটবার্তায় সার্ভার সচল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ভার জটিলতায় এক টুইটবার্তায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ফেসবুক। টেক জায়ান্টটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার বলেন, ফেসবুকের শতভাগ পরিষেবা পেতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের বিভ্রান্তি বিরল। এর আগে ২০১৯ সালে সার্ভার জটিলতার কারণে ফেসবুক এবং এর অন্যান্য অ্যাপ বিশ্বজুড়ে ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যবহার করা যায়নি।
ওই ঘটনার পরে সমস্যার জন্য টেক জায়ান্টটির পক্ষ থেকে কোনো কারণ বলা হয়নি। তবে অনলাইন নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ফেসবুকের ডিএনএস বা ডোমেন পদ্ধতির ত্রুটির জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে।
সোমবার রাত থেকেই সার্ভার ডাউন নিয়ে বিভিন্ন দেশের লাখো ব্যবহারকারী ডাউন ডিটেকটরডটকমে অভিযোগ করেছেন। ডাউন ডিটেকটর হচ্ছে একটি অনলাইন সাইট, যারা বিভিন্ন সাইট বা অনলাইন সেবা বিপর্যস্ত হলে তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে। ডাউন ডিটেকটর জানায়, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ধরনের সার্ভার ডাউনের ঘটনা এটি। বিশ্বজুড়ে এক কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশের একটি ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বাংলাদেশে সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের সার্ভার ডাউন। মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে চারটার দিকে সচল হয় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম; এর কিছু সময় পর সচল হয় হোয়াটসঅ্যাপ।
ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এখন ২৯০ কোটি। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী এই পরিমাণ অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে একবার হলেও ফেসবুকে লগইন করা হয়। এই ব্যবহারকারীদের ৪ কোটি ৮০ লাখের বাস বাংলাদেশে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী ১২০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন।