যুক্তরাষ্ট্রে প্রচণ্ড তুষারঝড়, দুই অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা

প্রচণ্ড তুষারঝড়ের মধ্য দিয়ে এক পথচারী রাস্তা পার হচ্ছেন। ছবিটি গতকাল ম্যাসাচুসেটসের লরেন্স থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্স।
প্রচণ্ড তুষারঝড়ের মধ্য দিয়ে এক পথচারী রাস্তা পার হচ্ছেন। ছবিটি গতকাল ম্যাসাচুসেটসের লরেন্স থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্স।

নতুন বছরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রচণ্ড তুষারঝড় আঘাত হেনেছে। ম্যাসাচুসেটসের একটি শহরে ৫৩ সেন্টিমিটার (২১ ইঞ্চি) তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি ও রয়টার্সের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই পরিস্থিতিতে নিউইয়র্ক ও নিউ ইংল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে হাজারো ফ্লাইট। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক স্কুল। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মিসিসিপি ভ্যালি থেকে আটলান্টিক উপত্যকার দিকে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল নাগাদ বোস্টনসহ নিউ ইংল্যান্ডে ১৪ ইঞ্চি তুষারপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কিউমো বলেন, ‘আমি নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সাবধানতা বজায় রাখার জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। বাইরে ঘোরাফেরা না করে তাদের ঘরেই থাকার অনুরোধ করছি।’

তুষারঝড়ে বোস্টন এয়ারপোর্টে বাতিল হয়ে গেছে অনেক ফ্লাইট। ছবি: রয়টার্স
তুষারঝড়ে বোস্টন এয়ারপোর্টে বাতিল হয়ে গেছে অনেক ফ্লাইট। ছবি: রয়টার্স


ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর ডেভাল প্যাট্রিক বলেন, বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেলা তিনটায় অফিস থেকে বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাইরের তাপমাত্রা সত্যিই ভয়াবহ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের কর্মকর্তা জ্যাসন টুয়েল বলেন, ‘আমরা প্রচুর তুষার ও প্রচণ্ড বাতাস দেখতে যাচ্ছি।’ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও ম্যানিতেও একই ধরনের তুষারঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব এলাকার অনেক
বাসিন্দাই তুষারঝড়ের কারণে বিদ্যুিবহীন অবস্থায় রয়েছে।
কানাডার মনট্রিল ও উইনিপেগে তাপমাত্রা এখন হিমাঙ্কের ২৬ ডিগ্রি সেলসিলাসের নিচে। গতকাল বৃহস্পতিবার কানাডার কুইবেক প্রদেশে তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নিচে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাডানার আবহাওয়াবিদ বার্নার্ড দুগে বিসিসিকে বলেন, শুক্রবার সকাল নাগাদ এই ঝড় চলতে পারে।