নীল রঙের চিংড়ি

চিংড়ির রং সাধারণত বাদামি কিংবা লাল হয়ে থাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডের উপকূলে একটি চিংড়ি ধরা পড়েছে, যেটির রং নীল।

ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, যিনি চিংড়িটি ধরেছেন, তাঁর নাম লার্স জোয়ান লারসন। এই চিংড়ি ধরার পর গত রোববার এর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। টুইটারে এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, পোর্টল্যান্ডের উপকূল থেকে এটি ধরা হয়েছে। কিন্তু এটি আবার পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি বড় হওয়ার সুযোগ পায়।

জোয়ান লারসনের এই পোস্ট ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। টু্ইটারে এই পোস্টে লাইক পড়েছে পাঁচ লাখের বেশি। আর এটি রিটুইট করা হয়েছে ৪৩ হাজারবার।

নীল রঙের এই চিংড়ি নিয়ে এর আগে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। বাদামি বা লাল না হয়ে এই চিংড়ির রং কেন নীল হয়, তা–ও উদ্ধার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জিনগত কারণে এটি নীল হয়ে থাকে। এর শরীরে অন্য চিংড়ির তুলনায় একটি বিশেষ প্রোটিন বেশি থাকে। ফলে এর রং নীল হয়।

এই নীল চিংড়ি নিয়ে গবেষণা হয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, নীল রঙের চিংড়ি সত্যিকার অর্থেই দুর্লভ। কারণ, প্রতি ২০ লাখ চিংড়ির মধ্যে এমন একটি নীল চিংড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে কাজ করা সোসাইটি জারসিয়াসির মেরিন বায়োলজি সেকশনের প্রধান গ্যারেথ জেফরিস বলেন, এই নীল রঙের চিংড়ি সম্পর্কে দুর্লভ ও মৌলিক কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব নীল চিংড়ি ধরা পড়ছে, সেগুলোর জিনগত বৈশিষ্ট্য অস্বাভাবিক।

এমন দুর্লভ বৈশিষ্ট্যের কারণে যখনই ধরা পড়ে, তখনই খবরের শিরোনাম হয় এই চিংড়ি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এর আগে চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাজ্যের উপকূলে এমন চিংড়ি পাওয়া গিয়েছিল।