টিকটক এবার মহাকাশেও

সামান্থা ক্রিস্তোফোরেত্তি মহাকাশে প্রথম টিকটক ভিডিও করেছেন
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। প্ল্যাটফর্মটিতে ভিডিও প্রকাশ করে চলছে নাম কামানোর রীতিমতো এক প্রতিযোগিতা। এবার টিকটক ভিডিওকে এক ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেলেন ইউরোপের নভোচারী সামান্থা ক্রিস্তোফোরেত্তি। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) টিকটকের জন্য ভিডিও তৈরি করেছেন তিনি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামান্থা ইতালির প্রথম নারী নভোচারী। ২০১৪ সালে প্রথম মহাকাশে ভ্রমণ করেন তিনি। সেবার আইএসএসে একজন নারী হিসেবে টানা ১৯৯ দিন কাটিয়ে করেন রেকর্ডও। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে সেই রেকর্ড ভেঙেও যায়। তবে এবার নতুন এক রেকর্ড করলেন তিনি।

চলতি বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয়বারের মতো মহাকাশভ্রমণে গিয়েছেন সামান্থা। সেখানে ধারণ করা ভিডিও পোস্ট করছেন টিকটকে। এসব ভিডিও দেখছেন কোটি কোটি মানুষ। এর জেরেই নভোচারী সামান্থা এখন টিকটক তারকাও বনে গেছেন।

মহাকাশে সামান্থা এই টিকটক ভিডিও করেছেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি দ্য হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সির লেখক ডগলাস অ্যাডামসের স্মরণে। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, মহাকাশে ওজনহীন অবস্থায় একটি ভেজা তোয়ালে কেমন আচরণ করে। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ১৭ কোটি বারের বেশি।

পৃথিবী থেকে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পর তা আইএসএসে স্থাপন করা পর্যন্ত বিস্তারিত দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে সামান্থার অপর একটি টিকটক ভিডিওতে। এই ভিডিও এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১২ লাখ বারের বেশি।

তবে এটা ভাবলে চলবে না যে মহাকাশে গিয়ে সামান্থা শুধু টিকটক ভিডিও করছেন। প্রতিদিন মহাকাশ স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ ও গবেষণার কাজে ১২ ঘণ্টা করে সময় দিতে হচ্ছে তাঁকে। একটি গবেষণার বিষয় হলো মহাকাশযানে খুবই কম মহাকর্ষ বলের মধ্যে কীভাবে ডিম্বাশয়ের কোষগুলো কাজ করে, তা খতিয়ে দেখা। গবেষণাটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, এই গবেষণার সুফল পাবে পৃথিবীর মানুষ।

এদিকে মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকলে নভোচারীর শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ বিষয় নিয়েও ভাবতে হয় সামান্থাকে। দিনের একটা সময় শারীরিক কসরত করে কাটান তিনি। মজার বিষয় হলো মহাকাশে কসরত করা নিয়েও তাঁর একটি টিকটক ভিডিও রয়েছে।