সৌরবাতির আলোয় আলোকিত তাঁরা
নড়াইল সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রাম। সৌরবাতির আলোয় আনজিরা খাতুন ও তাঁর শাশুড়ি কাঁচা মরিচ বাজারজাতকরণের কাজ করছিলেন। আনজিরার স্বামী টিটো মোল্লাসহ সংসারে সদস্যসংখ্যা আট।
সংসারের কাজকর্মের ফাঁকে রাতের বেলা আনজিরা সেলাইয়ের কাজ করেও মাসে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা আয় করেন।
আনজিরা জানান, বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ নিতে পারেননি। তবে সৌরবিদ্যুৎ পাওয়ায় অনেক উপকার হচ্ছে। সৌরবিদ্যুতের আলোয় ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে।
বলরামপুরে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের টিআর/কাবিটা প্রকল্পের আওতায় সরবরাহকৃত সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করছে পরিবারগুলো।
বলরামপুর গ্রামের রাস্তার পাশেই মনজিত বিশ্বাসের মুদির দোকান। দোকানটি সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। সৌরবিদ্যুৎ থাকায় অনেক রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলে, ফলে বিক্রিও বেড়ে গেছে। মনজিতের বাড়িতেও রয়েছে সৌরবিদ্যুতের সুবিধা। মনজিতের স্ত্রী শম্পা বিশ্বাস সংসারের কাজকর্মের পাশাপাশি দরজির কাজ করেন।
গ্রামটির প্রধান বাজারের দুপাশে সৌরচালিত বেশ কয়েকটি সড়কবাতি রয়েছে; ফলে রাতে পুরো বাজার আলোকিত থাকে। বিক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, বাজারে সৌরবাতির সুবিধা থাকায় অনেক ধরনের অঘটন থেকেও রক্ষা পাচ্ছে গ্রামবাসী।
গ্রামটির বাসিন্দা, বিশেষ করে নারীরা জানান, শুধু এ বাতির কারণেই তাদের সাংসারিক কাজকর্ম সহজ হয়ে এসেছে।
মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান জানান, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অংশীদার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড নড়াইল সদর উপজেলায় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ফলে এ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীরা উপকৃত হচ্ছেন।