২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অনুষ্ঠান করে তবেই একসঙ্গে থাকা শুরু করব: গুলতেকিন

খুব শিগগির একটা অনুষ্ঠান করে যুগলজীবনের নতুন পথচলার জানান দিতে চান গুলতেকিন খান ও আফতাব আহমদ। গত রোববার কথা হচ্ছিল এই সাহিত্যিক নবদম্পতির সঙ্গে। তাঁরা এসেছিলেন প্রথম আলোর ‘বর্ষসেরা বই ১৪২৫’-এর অনুষ্ঠানে।

গুলতেকিন খান কয়েক মাস আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন তিনি। নতুন এই দম্পতির পরিবারসূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করার পর গত বছর ১৪ নভেম্বর তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সে সময় বলা হয়েছিল, ‘সম্প্রতি ঢাকাতেই ছোট পরিসরে গুলতেকিন-আফতাবের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অতিরিক্ত সচিব আফতাব আহমদের কবি ও লেখক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।’

ফলে গণমাধ্যমের কল্যাণে তাঁদের বিয়ের খবর সবাই জেনে গেছেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি তাঁরা কেউই। তাই গুলতেকিন বলছিলেন, ‘আসলে আমাদের আক্দ হয়েছে। একটা অনুষ্ঠান করে তবেই একসঙ্গে থাকা শুরু করব।’ আরও বলেন, তাঁরা ভালোই আছেন।

গুলতেকিনের কথার সূত্র ধরে নতুন জীবনসঙ্গী কবি আফতাব আহমদ যোগ করেন, ‘আমাদের দুজনেরই পরিবার আছে। পরিবারটা তাই নতুন নয়। বরং এক্সটেনডেড হয়েছে।’ পাশ থেকে গুলতেকিনের সংক্ষিপ্ত সংযোজন, ‘অফ কোর্স।’

আফতাব আহমদ ফেরেন তাঁর কথায়। আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘সবাইকে নিয়েই পরিবার হয়। কিন্তু এখনো আমরা সবাইকে এক জায়গায় করতে পারিনি। ভবিষ্যতে হয়তো তা পারব।’ আরও বললেন, অনানুষ্ঠানিকই হোক বা আধা আনুষ্ঠানিক একটা অনুষ্ঠান তাঁরা করবেন। অবশ্য বইমেলার আগে যে নয়, সেটা পরিষ্কার হয়ে যায় উভয়ের বক্তব্যে।

স্বামী আফতাব আহমদের সঙ্গে গুলতেকিন খান। ছবি: সংগৃহীত
স্বামী আফতাব আহমদের সঙ্গে গুলতেকিন খান। ছবি: সংগৃহীত

কারণ গুলতেকিনের সুরে সুর মিলিয়েই সহমত হন আফতাব। ‘সবাইকে নিয়ে করতে চাই বলেই একটু সময় লাগবে। আর সেটা মার্চ নাগাদই হবে।’ আফতাব আহমদের ভাষায়, অনুষ্ঠানটা হবে আদতে ধন্যবাদ প্রদানের উপলক্ষ।

জীবনের ঘটমানতা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপনে উভয়েই ছিলেন স্বচ্ছন্দ। গুলতেকিন জানিয়েছেন নিজের লেখালিখির হাল হকিকত। গত বইমেলায় ‘বালিঘর উল্টে যাবে’ নামে তাঁর একটা কবিতার বই বেরিয়েছিল। কিন্তু এরপর আর কোনো বই বেরোয়নি। এবারের বইমেলাতেও বেরোচ্ছে না। তবে একটা কাব্য উপন্যাসের পরিকল্পনা তিনি করছেন। এ জন্য অবশ্য তাঁর জীবনের নতুন মানুষটির সাহচর্য ও সহায়তাই হয়তো ইচ্ছাপূরণের অনুঘটক হবে। তেমনটাই ভাবছেন গুলতেকিন খান।

উল্লেখ্য, প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের সাবেক স্ত্রী গুলতেকিন খান। গুলতেকিনের সঙ্গে হ‌ুমায়ূন আহমেদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে। ২০০৩ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। আফতাব আহমদ আগে বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে। আফতাব আহমদ অভিনেত্রী আয়েশা আখতারের ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন।

গত রোববারের এই আলাপে নিজের লেখালিখি নিয়ে আফতাব আহমদ অবশ্য কোনো কথা বলেননি। তবে প্রথম আলোর বর্ষসেরা বইয়ের স্বীকৃতি প্রদানের ঐতিহ্যের তারিফ করেছেন। বলেছেন, ‘এই ট্র্যাডিশনটা আমাদের দেশে তৈরি হয়নি।’ তাঁর আশা, আরও অর্ধশত বছর এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং শতাধিক লেখক পুরস্কৃত হবেন।

এই পুরস্কার ভালো লেখক এবং হালের লেখকদের সম্পর্কে পাঠককে জানতে সহায়তা করে। এমনকি এর মাধ্যমে ভালো বই সম্বন্ধেও জানা সম্ভব হয় বলেই অভিমত দিয়েছেন গুলতেকিন খান।