হেফাজতে ইসলাম

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন। ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে এর যাত্রা শুরু। হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক শাহ আহমদ শফী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা।


২০১১ সালে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ ঘোষিত হওয়ার পরপরই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে সংগঠনটি। ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসে সংগঠনটি। দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা ১৩ দফা উত্থাপন করে। দাবিগুলোর বেশ কয়েকটি ধারা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ১৩ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রথমে সংগঠনটি ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল ঢাকা অবরোধ ও ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডাকে। ওই সমাবেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ও এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি সমর্থন দেয়। একপর্যায়ে সমাবেশ থেকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়, ডাক দেওয়া হয় সরকার পতনের। ওই রাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অভিযানে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম ভোটের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম অংশ নেবে এমন প্রচারও ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা অবশ্য নির্বাচনে যায়নি। সংগঠনটির বিরুদ্ধে সরকার-সমর্থক ও সরকারবিরোধী দুই অংশের কাছ থেকেই আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল এক সমাবেশে আহমদ শফী বলেন, ‘হাসিনা সরকার, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ সবাই আমাদের বন্ধু।’

আরও