৯ মাসে হুয়াওয়ের আয় ৮৬ বিলিয়ন ডলার
চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের ব্যবসায়িক ফলাফল ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। বছরের প্রথম তৃতীয় প্রান্তিকে হুয়াওয়ের আয়ের পরিমাণ ৮৬ বিলিয়ন ডলার যা একই সময়ে বিগত বছরের তুলনায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এ সময়ে কোম্পানির মোট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
আইসিটি অবকাঠামো এবং স্মার্ট ডিভাইসের ওপর বেশি প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি পণ্যের দক্ষতা এবং গুণগত মান ঠিক রেখেছে হুয়াওয়ে। এতে বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে হুয়াওয়ের সাংগঠনিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৫-জির নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে তাদের সুপার আপলিঙ্ক, স্মার্ট এবং ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক সহজীকরণ করার মতো উদ্ভাবনী সেবা চালুর কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রি জোট প্রতিষ্ঠায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রি সহযোগীদের নিয়ে কাজ করছে। একই সঙ্গে শিল্প উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৫জি নির্ধারিত নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫জি নেটওয়ার্ক সেবা দিতে ৬০ টিরও বেশি বাণিজ্যিক চুক্তি সই করেছে হুয়াওয়ে এবং চার লাখের বৃহৎ এমআইএমও অ্যাকটিভ অ্যানটেনা ইউনিট বাজারে এনেছে। হুয়াওয়ের অপটিক্যাল ট্রান্সমিশন, ডেটা যোগাযোগ এবং আইটি সেবাগুলো উৎপাদন ও সরবরাহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এন্টারপ্রাইজ ব্যবসায় হুয়াওয়ে হরাইজেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছে। হুয়াওয়ের ব্যাপক ভিত্তিক প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে।
হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, হুয়াওয়ের লক্ষ্য—গ্রাহক এবং অংশীদারদের নিয়ে ডিজিটাল বিশ্ব তৈরি করা। এ প্ল্যাটফর্মটি সরকার, জনসেবা, আর্থিক সংস্থান, পরিবহন এবং বিদ্যুতের বিভিন্ন খাতকে দ্রুত ডিজিটালে রূপান্তরে সহায়তা করছে যার আর্থিক মূল্য কয়েক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের তিন প্রান্তিক শেষে বিশ্বের প্রায় ৭০০ টিরও বেশি শহরে, ২২৮ ফরচুন গ্লোবালের ৫০০ কোম্পানি, ৫৮ ফরচুন গ্লোবালের ১০০ কোম্পানি হুয়াওয়েকে তাদের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সহযোগী হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
কনজ্যুমার ব্যবসার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে স্মার্টফোন আমদানি বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি ইউনিট, যা একই সময় গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। পিসি, ট্যাবলেট, ওয়ারেবল ডিভাইস ও স্মার্ট অডিও প্রোডাক্টের ক্ষেত্রেও হুয়াওয়ের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার খাতে নতুনত্ব নিয়ে এ বছরেই চালু হয়েছে ভিশন স্মার্ট স্ক্রিন, যা বর্তমান বাজার ব্যবস্থা ও সেবাগ্রহীতা উভয়ের কাছেই সমাদৃত হয়েছে। গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ পরিসরে হুয়াওয়ে আনছে নিখুঁত ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম যা সেবার মানকে আরও মসৃণ করবে।