২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ব্র্যান্ডের মধ্যে আসতে চাই
বর্তমানে ওয়ালটন ফ্রিজের বাজারে অবস্থান কেমন?
গোলাম মুর্শেদ: চলতি বছরের শুরুতেই বাজারে আমাদের শেয়ার ছিল ৭৩ শতাংশ। ওয়ালটনের শুধু একটি মডেল নয়, এই ৭৩ শতাংশের মধ্যে আমাদের সব ফ্রিজই আছে। এখন বাজারে আছে আমাদের শতাধিক মডেলের ফ্রিজ । গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের গত বছরের তুলনায় অগ্রগতি ৯৩ শতাংশ। এই বছরের আমাদের লক্ষ্য হলো প্রায় ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি। ফলে আমাদের মার্কেট শেয়ার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি চলে যাবে।
সারা দেশে মানুষের কাছে ওয়ালটনের ফ্রিজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
গোলাম মুর্শেদ: মানুষের দোরগোড়ায় ফ্রিজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ৩১০ প্লাজা। ৮ হাজারের মতো পরিবেশক আছে সারা দেশে। পরিবেশকের আবার সহপরিবেশক আছে। সব মিলিয়ে আমাদের ১৬ হাজারের বেশি বিপণনপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছি। এদেরকে আমরা ব্যবসা এবং বাজারজাতকরণের জন্য উৎসাহিত করছি। যতক্ষণ একজন পরিবেশক পণ্যটি নিজের মনে না করে বিক্রি করবে, ততক্ষণ সেই কোম্পানি সেরা হতে পারবে না।
ফ্রিজে সমস্যা দেখা দিলে ক্রেতাদের করণীয় কী?
গোলাম মুর্শেদ: ফ্রিজের কোনো সমস্যা হলে আমাদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে দিলেই হবে। আমরা ক্রেতারা যা চান, সেভাবেই সেবা দিয়ে থাকি। ক্রেতা যদি চান, তবে তাঁর বাসায় গিয়ে সার্ভিসিং করে দিই। আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে ক্রেতা চাইলে আমাদের সার্ভিস সেন্টারেও নিয়ে আসতে পারেন। সারা দেশে আমাদের ৫০০–র বেশি সার্ভিস ভ্যাহিকেল (গাড়ি) রয়েছে। এই গাড়িগুলো একটি ফ্রিজকে মেরামত করার জন্য যা যা লাগবে, তার সবকিছু দিয়েই তৈরি করা। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই সার্ভিস সেন্টারে কল করলেই হবে। ক্রেতা চাইলে ফ্রিজগুলো বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ওয়ালটন ফ্রিজ বর্তমানে কতটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে?
গোলাম মুর্শেদ: এ মুহূর্তে ওয়ালটন ২২টির বেশি দেশে ফ্রিজ রপ্তানি করছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা মহাদেশসহ নেপাল, মিয়ানমার ও ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’ হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে আমাদের ফ্রিজ রপ্তানি করা হচ্ছে। ইউরোপে আমরা কম্প্রেসর রপ্তানি করছি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
গোলাম মুর্শেদ: এ মুহূর্তে দেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজ ১ নম্বর স্থানে রয়েছে। এই জায়গাটায় আমরা থাকতে চাই। একটি ফ্রিজে আধুনিক যত প্রযুক্তি থাকতে পারে, তার সবকিছুই আমরা ব্যবহার করছি। এর বাইরে ফ্রিজের আন্তর্জাতিক বাজার ৮০ বিলিয়ন ডলারের। বিশাল এই বাজার দখলের সম্ভাবনা এবং সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারকে টার্গেট করে আমরা নতুন ও উদ্ভাবনী ৫ মডেলের ফ্রিজ উৎপাদন করছি। ২০২৫ সালে বিশ্বের সেরা ১০টি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সেরা ৫টি ব্র্যান্ডের একটিতে পরিণত হওয়ার টার্গেট নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।