হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তি করে আরেক বিপদে ফেসবুক
চীনা কোম্পানির সঙ্গে তথ্য ব্যবহারের চুক্তির বিষয়টি স্বীকার করে নিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। চীনা এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েও আছে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফেসবুক জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী শুধু বিভিন্ন ডিভাইসে ফেসবুকের প্রবেশযোগ্যতা সহজ করার জন্য তারা নির্মাতা প্রতিষ্ঠাগুলোর সঙ্গে তথ্য শেয়ার করছে। সব তথ্যই ব্যবহারকারীর ফোনে সংরক্ষিত হয়েছে, সার্ভারে আসেনি।
বেশ কিছুদিন ধরে আইনি জটিলতা যেন পিছু ছাড়ছে না ফেসবুকের। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি গ্রাহকের তথ্য চুরির ঘটনায় ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস তাদের অনুসন্ধানে জানিয়েছে, হুয়াওয়েসহ কমপক্ষে ৬০টি ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে চুক্তির আওতায় গ্রাহকের তথ্য সরবরাহ করছে ফেসবুক। বলা হয়, ফেসবুকে-বন্ধুদের স্পষ্ট সম্মতি ছাড়াই নিজস্ব সার্ভারে বিবরণ জমা রাখে ফেসবুক। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুক।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকের মোবাইল পার্টনারশিপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সেসকো ভারেলা বলেছেন, সারা বিশ্বের মানুষ হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার করে। তিনি বলেন, নিজেদের সেবা চীনের ডিভাইসে যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর কোম্পানি হুয়াওয়ে ও অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে থাকে।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের টেলিকম সরঞ্জাম ব্যবহার করলে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে—দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সালে মার্কিন কংগ্রেসের এক প্রতিবেদনে হুয়াওয়েকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এতে বলা হয়, হুয়াওয়ের সরঞ্জাম ব্যবহার করলে চীনকে টেলিকম নেটওয়ার্কে গোয়েন্দাগিরির সুযোগ দেওয়া হবে। ফেসবুক অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের চুক্তি করলেও হুয়াওয়ের সঙ্গে করা চুক্তিকেই নিরাপত্তার ওপর হুমকি হিসেবে দেখছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। কারণ, তাঁদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে চীন সরকার হুয়াওয়ের সহায়তা নিতে পারে।
২০০৯ সাল থেকে চীনে ফেসবুক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর থেকেই অন্য উপায়ে বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার ধরতে চাইছে ফেসবুক।