ডিজিটাল বাংলাদেশ
সুবিধা শহরকেন্দ্রিক, পিছিয়ে গ্রামের মানুষ
ডিজিটাল বাংলাদেশের যতটা অগ্রগতি হয়েছে, তার বেশির ভাগই শহরকেন্দ্রিক। এই অগ্রগতির সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা যায়নি।
যা হয়েছে
আইসিটি খাতে সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫তম।
ইন্টারনেটের দাম কমেছে
মোবাইল ব্যাংকিং এবং ই-কমার্স খাতে দারুণ অগ্রগতি। নাগরিক সেবা নিচ্ছেন অনলাইনে।
যা হয়নি
ই–গভর্ন্যান্স খাতে ৪ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১১৯তম।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা কম
ইন্টারনেটের খরচ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বেশি।
রাজধানীর বাসিন্দা সাবের শাহরিয়ার অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করছেন। তাঁর দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছোট বোনের ক্লাস-কোচিং, বাবার হোম অফিস, মায়ের সংসারের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা—সবই হচ্ছে স্ক্রিনে হাতের স্পর্শে। তাঁর বাবা মো. আশরাফ উদ্দিন এখন প্রয়োজনীয় সব বিল প্রদানসহ লেনদেন করেন অনলাইনে।
অন্যদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাসিন্দা নিশাত তাসনীম যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী।
অনলাইনে ক্লাস করতে পারেননি। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রাম থেকে শহরে যেতে হয়েছে। তাঁর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া বোনও অনলাইনে কোনো ক্লাসই করতে পারেনি। তাঁদের এলাকায় ব্রডব্যান্ড সুবিধা পৌঁছায়নি। একমাত্র ভরসা মোবাইল ইন্টারনেট। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কম পাওয়া যায়। আবার খরচ বেশি।
হাতে হাতে স্মার্টফোন, বাসায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ আর মোবাইল ইন্টারনেট বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে গেছে ডিজিটাল সময়ে। এতে জীবনযাত্রা যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি নানা খাতে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। বেড়েছে কর্মসংস্থান। দেশে বসেই বাইরের দুনিয়া থেকে প্রশিক্ষণ, ডিগ্রি মিলছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে এ দেশের তরুণেরা বিদেশ থেকে টাকা আয় করে আনছেন। ঘরে বসে করা যাচ্ছে অনেক কাজ। কিন্তু এত কিছুর পরেও ডিজিটাল সময়ের এই সুবিধা যেন সবার জন্য নয়।
আর তাই ঢাকার শাহরিয়ার ও তাঁর পরিবার যে সুবিধা ভোগ করছেন, শৈলকুপার নিশাত বা তাঁর পরিবার সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। আরেক বাধা হলো সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের আর্থিক অসচ্ছলতা। মূলত দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সবার হাতের কাছে আসবে না।
আজ ১২ ডিসেম্বর। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’–এর এক যুগ পালন করছে সরকার। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, নির্বাচিত হলে তারা ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবে। ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছিল ১২ ডিসেম্বর। আর তাই সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ চার বছর ধরে এই দিনটিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
সরকারের এখন লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা বা ফাইভ-জি চালু করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) মতো ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলছেন, সরকার তার লক্ষ্যের চেয়ে বেশি অর্জন করেছে। সামনের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপির একটি দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে তুলে ধরা এবং ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। পুরো দেশই এর আওতায় থাকবে।
অগ্রগতি কতটা
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্স (এনআরআই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে দেশগুলোর প্রবণতা পরিমাপ করে। তাদের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫, আর ভারতের অবস্থান ৮৮, পাকিস্তান ১১১, ভিয়েতনাম ৬২, মালয়েশিয়া ৩৪।
এনআরআইয়ের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শক্তিশালী সূচকগুলো হলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রামীণ ও আর্থসামাজিক ব্যবধান কমিয়ে আনা। এ ছাড়া আয়বৈষম্য, মোবাইল শুল্ক, স্কুলে ইন্টারনেট সুবিধা, মোবাইল ফোনসেটের মূল্য কমিয়ে আনা। প্রযুক্তি খাতে সরকারের বিনিয়োগের সদিচ্ছা, সফটওয়্যারের ব্যবহার বৃদ্ধি।
এক যুগ আগের চেয়ে দেশে ব্যান্ডউইডথের দাম কমেছে। ২০০৯ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ২৭ হাজার টাকা, এখন তা মাত্র ৪০০ টাকা। ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা এখন ৮৬ লাখ।
আড়াই বছর আগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর নিজেদের স্যাটেলাইট ব্যবহার করে দেশীয় চ্যানেলগুলো এখন সম্প্রচার চালাচ্ছে।
গত এক যুগে মোবাইল ব্যাংকিং খাত এগিয়েছে। শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবাই এ সেবার সুফল ভোগ করতে পারছে। ২০১১ সালে চালু হওয়া এ খাতে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ কোটি ৪৮ লাখ এবং ওই মাসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ১২১ কোটি টাকা।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রগতি ই-কমার্স খাতের প্রসার। ই-ক্যাব জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৩৫০। এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্স খাতের বার্ষিক আকার ছিল ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা করোনা মহামারিতে দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকায়।
দেশে ইন্টারনেট ও টেলিকম সুবিধাও বেড়েছে। বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাবে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটির বেশি। তবে এদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেটের সংখ্যাই বেশি, যা ১০ কোটির অধিক।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন, জন্মনিবন্ধন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ নাগরিক সেবা নিতে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। অনলাইনে এসব সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসা–বাণিজ্যের কাজও সহজ হয়েছে।
২০১৭ সালে সরকার জরুরি সেবা পেতে ৯৯৯ চালু করে। যেকোনো সেবা পেতে ২৪ ঘণ্টার জন্য এ নম্বর খোলা থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়েও বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক। দেশে বর্তমানে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। সরকার এখন ফ্রিল্যান্সারদের পরিচয়পত্রও দিচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে টেলিমেডিসিন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কল সেন্টার ১৬২৬৩ তে ফোন করে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ১ কোটি ৫৫ লাখ ৩১ হাজার ১৭ জন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, সরকারের সব সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জনগণের কাছে পৌঁছানো, ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করে সুলভ মূল্যে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। গত ১১ বছরে এ খাতে ১০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। ১ হাজার ৪০০–এর বেশি ডিজিটাল সেবা ৫০ হাজার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০০ কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে।
কোথায় যেতে হবে
২০১৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট জরিপে ১১৫তম স্থান অর্জন করেছিল। তবে ২০২০ সালে এসে চার ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯। এ ছাড়া ই-পার্টিসিপেশন সূচকেও বাংলাদেশ পিছিয়েছে। ২০১৮ সালে অবস্থান ছিল ৫১। ২০২০ সালে এসে তা হয়েছে ৯৫। ই-গভর্নমেন্ট জরিপে ভারতের অবস্থান ১০০, পাকিস্তান ১৫৩, ভিয়েতনাম ৮৬, মালয়েশিয়া ৪৭।
নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্সে (এনআরআই) এ খাতে বাংলাদেশের দুর্বল সূচকগুলো হচ্ছে মোবাইল অ্যাপস, ইন্টারনেট ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, দক্ষ প্রযুক্তিবিদ, নিয়ন্ত্রক মান, ইন্টারনেটে কেনাকাটা, হাইটেক রপ্তানি, ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্য ও ইন্টারনেট সুবিধা।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা এখন পর্যন্ত শহরকেন্দ্রিক। গ্রাম বা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এখনো সবখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছায়নি। বিটিআরসির এ বছরের অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮৬ লাখের বেশি। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বলছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ৮০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় বিভাগীয় শহরে।
কেবলডটকোডটইউকে নামের একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেটের দাম পর্যালোচনা করে। তাদের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দামে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭, যা প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া মোবাইল ইন্টারনেটের দামে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯। এখানেও বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে।
এখনো অনলাইনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সেবা চালু হয়নি। ব্যবসার সব সেবা অনলাইনে দেওয়া, কর দেওয়া, রিটার্ন জমা দেওয়ার মতো কাজগুলো শুরু হলেও তা বিস্তৃত হয়নি। ভূমি ডিজিটালাইজেশন করার কাজ শেষ হয়নি। ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরাপদ করা এবং অপপ্রচার–গুজব রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বা এ খাত নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে চাইলে এখন কোনো বাধা আসে না। ই-পেমেন্ট অনেক বড় অর্জন। অনেক কিছুর প্রসার ঘটেছে, তবে তা শহরকেন্দ্রিক। এখনো গ্রামের সর্বত্র ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছানো যায়নি। তিনি বলেন, এ খাত থেকে সুফল পেতে হলে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের খরচ কমাতে হবে। বড় বড় অবকাঠামোর চেয়ে উচ্চগতির সুলভ মূল্যের ইন্টারনেট সুবিধা ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে গেছে। অসংখ্য শিক্ষার্থী বের হচ্ছে, কিন্তু তার ৫০ শতাংশও চাকরি পাচ্ছে না। ইন্ডাস্ট্রিও সেভাবে বাড়েনি।
কর্মসংস্থান ও রপ্তানি
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) বলছে, ২০০৮ সালে তাদের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২৭০, এখন সে সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৬। ২০০৬ সালে আইটি খাতে ২৫ হাজারের বেশি লোক কাজ করত। এখন সেই সংখ্যা ১০ লাখ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রপ্তানি ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা, এখন এর পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান প্রথম আলোকে বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং অনলাইনে লেনদেনের অনেক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তবে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে আরও যতটা হতে পারত, তা হয়নি। তিনি বলেন, ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে, তা আরও প্রযুক্তিবান্ধব হতে পারত। তবে তাঁর আশা, দ্রুতই এগুলো হবে।