নতুন বছরের আগমন মানেই নতুন কী প্রযুক্তি আসছে, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আর যুক্তিতর্কের শুরু। এদিক থেকে গেম জগতের গেমাররাও মোটেই পিছিয়ে নন। গেল বছর বেশ কিছু নতুন গেম যেমন চমক দেখিয়েছে গেমারদের, একইভাবে অনেক গেমারের হাতে শোভা পেয়েছে ২০১৭ সালের সেরা গেমিং যন্ত্র হিসেবে জাপানি গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিনটেন্ডোর হাইব্রিড ভিডিও গেম খেলার যন্ত্র (কনসোল) সুইচ। অনেকের মনে একই প্রশ্ন, ২০১৭ সালের ধারাবাহিকতা কী ২০১৮-তেও বজায় থাকবে? থাকবে কী নতুন চমক?
নিনটেন্ডো সুইচ প্রতিষ্ঠানটির গেমিং কনসোল হিসেবে প্রথম নয়। নিনটেন্ডো ডিএস ও নিনটেন্ডো উই যথাক্রমে বাজারে আসে ২০০৪ ও ২০০৬ সালে। কিন্তু গেমিং কনসোল হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পায় নিনটেন্ডো সুইচ। কারণ সুইচ মুঠোফোন বা ট্যাবলেট অথবা কম্পিউটারে গেম খেলার চেয়ে ভিন্ন স্বাদ দিয়েছে গেমারদের। তবে যদি সুইচের পূর্বপুরুষের কথা বলা হয়, তাহলে রেজার এজ এবং এনভিডিয়া শিল্ডের কথা আসবে।
সুইচের এমন সফলতা ভাবিয়ে তুলেছে ২০১৮ সালটা কেমন যাবে কনসোলটির জন্য। কারণ বেশকিছু প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানকে দেখা যাবে, যারা একই ধরনের কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারে। সুইচের সফলতার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ, এটির গেম তালিকায় ছিল অসাধারণ কিছু গেম। বিশেষ করে মারিও ও জেলডার মতো গেম। আর রকেট লিগ, স্টারডিও ভ্যালি, থাম্পার, স্টিমওয়ার্ল্ড ডিগ ২-এর মতো অসাধারণ গেমের তালিকা বড় সম্বল হতে পারে। তবে গেমগুলোর জন্য অর্থ খরচ করতে হবে।
যদিও কনসোলটির দাম নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। কারণ, প্রায় ৩০০ মার্কিন ডলার মোটেই কম নয়। তবে অধিকাংশ গেমার মনে করেন, দুটি কন্ট্রোলারের সঙ্গে কনসোলটির এমন দাম যথাযথ বটে।
মুঠোফোন ও ট্যাবলেট স্বাভাবিক স্পর্শ ও ব্যবহারের জন্য বেশ ভালো। কিন্তু গেম খেলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বিশেষ করে গতি এবং একসঙ্গে একাধিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কনসোল বেশ ভালো ফল দেয়। তবে বর্তমানে মুঠোফোনকে টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত করে খেলা সম্ভব, যা কনসোলের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ফলে মুঠোফোন বা ট্যাবলেটকে কনসোলের মতো ব্যবহার করা যেতে পারে। সেদিক থেকে সুইচকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
সুইচের একটা প্রধান সমস্যা ব্যাটারির স্থায়িত্ব কম। এদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া অনেকেরই মতামত—গেম তালিকা আরও সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। আর সফটওয়্যারজনিত কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যা বেশ বিরক্তিকর।
মারিফুল হাসান, সূত্র: সিনেট