ম্যাকাফির আত্মহত্যার পর অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে চিন্তিত স্নোডেন
ম্যাকাফি অ্যান্টিভাইরাসের প্রতিষ্ঠাতা জন ম্যাকাফি স্পেনের বার্সেলোনার এক কারাগারে গতকাল বুধবার মারা যান। মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে স্পেনের কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত সেটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। কর ফাঁকির মামলায় স্পেনের আদালত তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়ার পর ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাকাফির মৃত্যুর পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ভাগ্যেও একই পরিণতি লেখা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক পরামর্শক এডওয়ার্ড স্নোডেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে গতকাল স্নোডেন লিখেছেন, ‘অহিংস অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে অন্যায্য বিচারব্যবস্থা এবং নির্মম কারাব্যবস্থায় প্রত্যর্পণ করা ইউরোপের উচিত না। এর চেয়ে বরং মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন স্থানীয় বিবাদীরাও। এরপর হতে পারে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গেও।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এই সিস্টেম সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এটা স্থগিত রাখা উচিত।’
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র। বেশির ভাগই গুপ্তচরবৃত্তি এবং গোপন নথি সংগ্রহের। ২০১৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার হন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের আবেদন সাময়িকভাবে নাকচ করে দেন যুক্তরাজ্যের এক আদালত।
ওদিকে জন ম্যাকাফির মৃত্যুর পর তাঁর আইনজীবী জাভিয়ার ভিল্লালবা বলেন, ম্যাকাফিকে কারাগারে আটকে রাখার কোনো কারণ ছিল না। স্পেনের নিষ্ঠুর ব্যবস্থার শিকার হয়েছেন তিনি।
এর আগে গত মাসে স্পেনে আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন ম্যাকাফি। ওই সময় তিনি আদালতকে বলেন, তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দোষী প্রমাণিত হন, তবে তাঁকে বাকি জীবন কারাগারেই থাকতে হবে। সঙ্গে যোগ করেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অবিচার হচ্ছে। আমি আশা করছি, স্পেনের আদালত এটা দেখবেন। যুক্তরাষ্ট্র আমাকে ব্যবহার করে একটি উদাহরণ তৈরি করতে চায়।’