বাবার ল্যাপটপ যেভাবে খুলে ফেলল শিশু
যন্ত্রের নিরাপত্তার জন্য ‘ফেস আনলক’ বা চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি এখন বেশ পরিচিত। অনেক স্মার্টফোন ও ল্যাপটপে এ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সব যন্ত্রের ক্ষেত্রে শুধু ফেস আনলক পদ্ধতি ব্যবহার করে তা নিরাপদ ভাবা ঠিক হবে না। কারণ, সহজেই এ প্রযুক্তিকে বোকা বানানো যায়। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য ম্যাট কার্থির এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে।
ফেস আনলক করে রাখা ম্যাট কার্থির এইচপি ল্যাপটপ খুলে ফেলেছে শিশু। বিষয়টি টুইটারে তিনি প্রকাশ করার পর থেকে সেখানে নানা প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। অনেকেই এইচপির স্পেকট্রা সিরিজের ল্যাপটপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ওই সিরিজের ল্যাপটপে উইন্ডোজ হ্যালো ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
কার্থি বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রিন্ট করা লিফলেটে তাঁর মুখের ছবি ছিল। সেই ছবি দেখিয়ে ল্যাপটপের ফেস আনলক ফিচারকে বোকা বানিয়েছে তাঁর শিশুরা। এরপর তাঁর ল্যাপটপে ঢুকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছে এবং ল্যাপটপের চার্জ শেষ করে ফেলেছে।
কার্থি বলেন, তিনি যখন ল্যাপটপ খুলতে যাচ্ছিলেন, তখন তা খুলতে পারছিলেন না। খেয়াল করে দেখেন, ল্যাপটপের চার্জের অবস্থা একেবারে শেষ। পরে তিনি পুরো ঘটনাটি জানতে পারেন।
কার্থির প্রশ্ন, ‘এ ঘটনায় শিশুদের বুদ্ধির প্রশংসা করব, নাকি ল্যাপটপের দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করব?’ তাঁর প্রশ্নের জবাবে অনেকেই ল্যাপটপের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ শিশুদের বুদ্ধির প্রশংসাও করেছেন।
এর আগে গত বছরে অনলাইন ৬ স্মার্টফোনে ফেস আনলক ফিচারটিকে বোকা বানিয়ে নিরাপত্তা ভাঙার ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও যেহেতু ফেস আনলক পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলে উদাহরণ তৈরি হচ্ছে, তাই ব্যবহারকারীরা জটিল পাসওয়ার্ড ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্যাটার্ন ব্যবহার করতে পারেন। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।