ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম নিয়ে সবাই মজা করছে টুইটারে
ফেসবুকের সেবা বিঘ্নের বিষয়টি টুইটারে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ নির্বাহী অ্যান্ডি স্টোন। লিখেছেন, ‘আমাদের অ্যাপ ও পণ্য ব্যবহারে কিছু মানুষ সমস্যার মুখে পড়েছেন। ব্যাপারটি আমরা জানি। সবকিছু ঠিকঠাক করতে যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উদ্ভূত সমস্যার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।’
আপাতদৃষ্টিতে ফেসবুকের মালিকানাধীন সব সেবা বিঘ্নিত বলেই মনে হচ্ছে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ, এমনকি ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রতিষ্ঠান অকুলাসের সেবাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বন্ধ পেলে তা ডাউন ডিটেকটর ডটকমে জানিয়ে থাকেন বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা। একপর্যায়ে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার মানুষ জানান, তাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না। ঠিক কী কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ফেসবুকের পক্ষ থেকেও ত্রুটির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে ফেসবুক ওয়েবসাইটে ঢুকতে চাইলে যে ত্রুটিমূলক বার্তা দেখায়, তাতে ডোমেইন নেম সিস্টেম বা ডিএনএসে ত্রুটি বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যবহারকারী ওয়েব ব্রাউজারে ফেসবুক ডটকম লিখলে ফেসবুকের ওয়েবসাইট দেখায়। তবে ওয়েব সার্ভার বোঝে নম্বরভিত্তিক ওয়েব ঠিকানা। ডিএনএসের কাজ হলো ফেসবুক ডটকমকে নম্বরভিত্তিক ঠিকানায় রূপান্তর করে সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে দেখানো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও সমস্যাটি কারিগরি বলে মনে করছেন। হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা দেখছেন না কেউ। হয়তো কোনো কর্মী ভুল বা ইচ্ছা করে সার্ভার কনফিগারেশন ঠিক করার বদলে ত্রুটিযুক্ত করে রেখেছেন।
এদিকে ফেসবুক বন্ধ থাকায় ফ্রি বা মুক্ত সোর্স কোডভিত্তিক সেবা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকায় আপনার এবং আপনার বন্ধুর উচিত সিগন্যালের মতো আরও গোপনীয়, অলাভজনক বিকল্প খুঁজে বের করা।’
সবাই অবশ্য বিষয়টি নিয়ে স্নোডেনের মতো গুরুগম্ভীর আলোচনায় যাননি। বেশির ভাগই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে মজা করছেন, তা-ও আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটফর্ম টুইটারে এসে। চলুন টুইটার ব্যবহারকারীদের তেমন কিছু পোস্ট দেখে নেওয়া যাক।