স্মার্টফোন সরাসরি কম্পিউটারে যুক্ত করে ফাইল পাঠানোর কাজটি সহজে করা যায়, কিন্তু এর চেয়েও সুবিধাজনক একটা পদ্ধতি আছে। প্রথমে সহজ পদ্ধতিটির কথাই চিন্তা করা যাক। অ্যান্ড্রয়েড-চালিত যন্ত্রের সঙ্গে থাকা মাইক্রো ইউএসবি তারটি কম্পিউটারে যুক্ত করলে প্রথমেই এর ড্রাইভার ইনস্টল হবে। তারপর এটি এক্সটার্নাল ড্রাইভের মতো কাজ করবে। তখন উইন্ডোজের ফাইল এক্সপ্লোরার দিয়ে ফাইল স্থানান্তরের কাজটি সম্পন্ন করা যাবে। এর চেয়েও সহজ একটি পদ্ধতি আছে, যাতে কোনো ইউএসবি তারের দরকার হবে না।
ওয়েবে তথ্য রাখার বিভিন্ন ক্লাউড সেবা—যেমন ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ বা স্কাইড্রাইভ অ্যান্ড্রয়েড সমর্থন করে। প্রতিটি সেবার নিজস্ব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ আছে, যা দিয়ে যন্ত্র থেকে ক্লাউডে বা ক্লাউড থেকে যন্ত্রে ফাইল পাঠানো যায়। এসব ক্লাউড সেবায় যা কিছুই জমা রাখবেন, তাই আপনি ইন্টারনেটে যুক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে পেয়ে যাবেন। কম্পিউটারে ইনস্টল করা সেসব ক্লাউডের নিজস্ব অ্যাপের ফোল্ডারে পেয়ে যাবেন ফাইলগুলো।
এ ক্ষেত্রে ড্রপবক্সের কথাই ধরা যাক। অ্যান্ড্রয়েডের ড্রপবক্স অ্যাপে রাখা সব ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে যন্ত্রের সঙ্গে সিনক্রোনাইজ হয় না, যা উইন্ডোজের অ্যাপে হয়ে থাকে। তবে ড্রপবক্স অ্যাপ থেকে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের নিজস্ব জায়গায় (স্টোরেজ) ফাইল নামানো যাবে এবং অ্যাপের মেনু থেকে বিভিন্ন ফাইল Upload here-এর মাধ্যমে আপলোডও করা যাবে। ড্রপবক্স অ্যাপের আরেকটি সুবিধা হলো, ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটারের মাধ্যমে তোলা ফটো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যন্ত্র থেকে কম্পিউটারে পাঠানো যাবে। এ জন্য ড্রপবক্স অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের সেটিংস ঠিক করে নিতে হবে। প্রথমে অ্যাপটির ওপরের ডান দিকের মেনু চাপতে হবে, তারপর সেটিংস অপশন চেপে Turn on Camera Upload নির্বাচন করতে হবে। যখনই ফোন দিয়ে কোনো ছবি তোলা হবে, তখনই সেটি কম্পিউটারে থাকা ড্রপবক্স অ্যাপ্লিকেশনের Camera Upload folder-এ চলে আসবে। —মঈন চৌধুরী