পেটেন্টের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে চায় হুয়াওয়ে
ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিসে ৩ হাজার ৫২৪টি পেটেন্ট আবেদন করে একক ব্র্যান্ড হিসেবে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। গবেষণায় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের কারণে হুয়াওয়ের পেটেন্টের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা ও উন্নয়নমূলক খাতে ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। অ্যান্ড্রয়েড হেডলাইনসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিসের (ইপিও) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বেশি পেটেন্ট আবেদন করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। এরপরই অবস্থান করছে স্যামসাং ও এলজি। প্রতিষ্ঠান দুটি যথাক্রমে ২ হাজার ৮৫৮টি ও ২ হাজার ৮১৭টি পেটেন্ট আবেদন করেছে। মূলত, ফাইভ–জি ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআইয়ের বিকাশের জন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো পেটেন্ট আবেদনের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মোট ১ লাখ ৮১ হাজার পেটেন্ট আবেদন জমা পড়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ১২ হাজার ২৪৭টি পেটেন্ট আবেদন নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশটির আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ দশমিক ২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপান যথাক্রমে শীর্ষ তিনটি স্থান দখল করে রেখেছে।
চীনের স্টেট ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অফিসের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, চীনে অনুমোদিত পেটেন্ট আবেদনের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্কের সংখ্যা বেড়েছে ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ পেটেন্ট অনুমোদন প্রাপ্ত তিনটি চীনা কোম্পানি ছিল হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড (৪৫১০টি পেটেন্ট), চায়না পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড কেমিক্যাল করপোরেশন (২৮৮৩টি পেটেন্ট), অপো গুয়াংডং মোবাইল কমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (২৬১৪টি পেটেন্ট)।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৯ সাল ছিল হুয়াওয়ের জন্য কঠিন একটি বছর। গত বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে অ্যান্ড্রয়েড লাইসেন্স ব্যবহারে বাধার মুখে পড়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। তবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারে বাধার মুখে পড়েও পেটেন্ট আবেদন করার বিষয়টি থেকে বোঝা যায় হুয়াওয়ে তাদের গতি বাড়িয়ে যাবে। এর বাইরে ফাইভ–জি প্রযুক্তি নিয়ে হুয়াওয়ের পেটেন্ট আরও বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের ফাইভ-জি পেটেন্টের ১৫ শতাংশই হুয়াওয়ের দখলে। ফাইভ-জির পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠান এখন সিক্স–জি নিয়ে পেটেন্টের পেছনে ছুটতে শুরু করেছে।