পুরোনো মুঠোফোনের নানা ব্যবহার

মুঠোফোন।ছবি: রয়টার্স

কিছুদিন পরপরই নিত্যনতুন প্রযুক্তিসুবিধা নিয়ে হাজির হয় নতুন মডেলের মুঠোফোন। মনকাড়া নকশার নতুন স্মার্টফোন হাতে পেয়েই পুরোনোটি অবহেলায় ফেলে রাখেন অনেকে। তবে চাইলে পুরোনো স্মার্টফোন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে অর্থ সাশ্রয় করা যায়। পুরোনো মুঠোফোনকে নতুন করে ব্যবহারের বেশ কিছু উপায় তুলে ধরা হলো।

মডেম

পুরোনো মুঠোফোনকে খুব সহজেই মডেম হিসেবে ব‍্যবহার করা যায়। এ জন্য বাড়তি কোনো ঝামেলাও করতে হবে না। মুঠোফোনে ইন্টারনেট ডেটা চালু করে হটস্পট বানিয়ে নিলেই কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এ জন্য প্রথমে পছন্দের ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে হবে। এরপর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা মুঠোফোনের সেটিংসে প্রবেশ করে ‘hotspot’ অপশন থেকে হটস্পটের জন্য নাম ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, হটস্পটের যে নাম দেবেন, সেটাই অন্য যন্ত্রে মডেমের নাম হিসেবে দেখা যাবে। এবার সেভ বাটনে ক্লিক করলেই হটস্পট চালু হয়ে যাবে।

আইফোন ব্যবহারকারীদের সেটিংস থেকে ‘personal hotspot’ অপশনে ক্লিক করে ‘allow others to join’ অপশনটি চালু করতে হবে। এরপর হটস্পটের জন্য নাম ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

এবার যে যন্ত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান, সেখানের ওয়াই–ফাই অপশনে প্রবেশ করে নতুন হটস্পটটি নির্বাচন করে যুক্ত করলেই পুরোনো মুঠোফোনটি হয়ে উঠবে মডেম। বেঁচে যাবে মডেম কেনার টাকা।

জিপিএস নেভিগেটর

কোথাও ঘুরতে গেলে নতুন জায়গা চিনতে সমস্যা হয় বেশ। সমস্যার সমাধানে মুঠোফোনে জিপিএস নেভিগেটর–সুবিধা ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু সে সময় কেউ কল দিলে বেশ ঝামেলা হয়। চাইলে পুরোনো মুঠোফোনকে জিপিএস নেভিগেটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। জিপিএস নেভিগেটর হিসেবে ব্যবহারের জন্য পুরোনো মুঠোফোনে ইন্টারনেট চালু করে গুগল ম্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। বেশির ভাগ অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোনেই গুগল ম্যাপস অ্যাপটি আগে থেকেই (ডিফল্ট) হিসেবে দেওয়া থাকে। চাইলে এই ঠিকানা (https://cutt.ly/LORtl4s) থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে পুরোনো মুঠোফোন জিপিএস নেভিগেটর হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

মিডিয়া প্লেয়ার

মিডিয়া প্লেয়ারের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায় পুরোনো মুঠোফোন। কারণ, প্রায় সব ধরনের মুঠোফোনেই মিডিয়া প্লেয়ার–সুবিধা থাকে। তবে মনে রাখতে হবে, এ সুবিধা পেতে হলে আপনার পুরোনো মুঠোফোনে অবশ্যই এইচডিএমআই কেব্‌ল ব্যবহারের সুযোগ থাকতে হবে। কেব্‌লটি যুক্ত করলেই মুঠোফোনের মেমোরি কার্ডে থাকা বিভিন্ন সিনেমা বা ভিডিও টেলিভিশনে দেখা যাবে।

নিরাপত্তা ক্যামেরা

হাতের কাছে পুরোনো মুঠোফোন থাকলে নিরাপত্তা ক্যামেরা কেনার জন্য আলাদা কোনো যন্ত্রের প্রয়োজন হবে না। পুরোনো মুঠোফোনকেই স্থায়ী নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ জন্য (https://cutt.ly/FIKPRpk) ঠিকানা থেকে আলফ্রেডক্যামেরা হোম সিকিউরিটি অ্যাপটি নামিয়ে ইনস্টল করতে হবে। এবার ইন্টারনেট–সেবা চালু করে অ্যাপটি ব্যবহার করলেই দূর থেকে সেই জায়গার ছবি দেখা যাবে। এ জন্য অবশ্যই অন্য যন্ত্রে অ্যাপটি নামানো থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবে কাজ করা পুরোনো মুঠোফোনটিতে অবশ্যই নিয়মিত চার্জ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

পেনড্রাইভের বিকল্প

পুরোনো মুঠোফোনটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে পেনড্রাইভের বিকল্প হিসেবে। চাইলে মেমোরি কার্ডের সাহায্যে পুরোনো মুঠোফোনটির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করে গুরুত্বপূর্ণ ছবি বা ভিডিও সংরক্ষণ করা যায়। এভাবে পেনড্রাইভ না কিনেই ডিজিটাল অ্যালবাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে পুরোনো মুঠোফোনটি।

গিনিপিগ হবে মুঠোফোন

বর্তমানে মুঠোফোনের অ্যাপ তৈরি করে অনেক টাকা আয় করা যায়। তাই অ্যাপ তৈরি করে কার্যকারিতা পরখ করতে পুরোনো মুঠোফোন ব্যবহার করেন অনেকেই। চাইলে অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি বিভিন্ন অ্যাপের ফিচারগুলো শেখার জন্যও পুরোনো মুঠোফোনটি ব্যবহার করতে পারেন।