করোনাকালে পিসির বিক্রি বেড়েছে
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর বাজারে পিসির (পারসোনাল কম্পিউটার) চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে মোট পিসি বাজারে আসার হার বেড়েছে ১১ শতাংশ। গত বছর ২৯ কোটি ৭০ লাখ ইউনিট পিসি বাজারে এসেছে। আরেক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসি একই রকম দাবি করেছে।
তাদের দাবি, এক দশকের মধ্যে গত বছর পিসির বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের মতো পিসি বিক্রি হয়েছিল সর্বশেষ ২০১০ সালে। ওই সময় পিসির বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছর পিসির বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরে ৩০ কোটি ২০ লাখ ইউনিট পিসি বিক্রি হয়েছে।
গত বছর পিসির চাহিদা বাড়ার মূল কারণ ছিল করোনা মহামারি। এ সময় অনেক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করেছে এবং কর্মীদের বাড়ি বসে কাজের সুযোগ দিয়েছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি পিসি বাজারে এনেছে লেনোভো। ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, লেনোভো গত বছর ৭ কোটি ২৬ লাখ ২৯ হাজার পিসি বাজারে এনেছে এবং বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। আইডিসির তথ্য অনুযায়ী, লেনোভোর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পিসির বাজারে রাজত্ব করেছে লেনোভো। ক্যানালিস ও আইডিসির তথ্য অনুযায়ী, লেনোভো পিসির বাজারের ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ দখল করে রেখেছে।
পিসির বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানটি এইচপির। গত বছর ৬ কোটি ৭০ লাখ ইউনিট পিসি বাজারে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বাজারে দখল ২২ শতাংশের কিছুটা বেশি। পিসির বাজারে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেল। গত বছর ৫ কোটির ওপর পিসি বাজারে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে ডেলের দখল ১৬ শতাংশের বেশি। গত বছর অ্যাপল ব্যাপক পিসি বিক্রি করেছে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপল। তাদের বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। গত বছর ২ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজারের বেশি পিসি বাজারে এনেছে অ্যাপল। তাদের বাজার দখল বেড়ে ৭ দশমিক ২ থেকে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। আইডিসির দাবি, গত বছরে পিসির বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে অ্যাপলের।
আইডিসির মোবাইল ডিভাইস ট্র্যাকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান রেইথ বলেন, বাড়ি থেকে পড়াশোনা ও কাজের কারণে পিসির বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময় গেমিং পিস ও মনিটর বিক্রিও বেড়েছে। পিসি বিক্রি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার বড় করার সুযোগও তৈরি হয়েছে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, গিজমোচায়না